scorecardresearch
 

নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাখ্যান শিলিগুড়ির তিন বিজেপি বিধায়কের

এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করলেন,  শিলিগুড়ির তিন বিজেপি বিধায়ক। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা যতদিন সুনিশ্চিত হবে, ততদিন তাঁরা কেউ কেন্দ্রর নিরাপত্তা কর্মী নেবেন না। তাঁরা কি দল ছাড়বেন এমন প্রশ্ন কেউ কেউ ভাসিয়ে দিলেও তাঁরা জানিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকতেই তাঁরা বিধায়ক হয়েছেন। জন বিচ্ছিন্ন হতে চান না। তাই নিরাপত্তারক্ষী নিতে চান না তাঁরা।

Advertisement
নিরাপত্তারক্ষী চাইনা-কেন্দ্রকে জানালেন তিন বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী চাইনা-কেন্দ্রকে জানালেন তিন বিধায়ক
হাইলাইটস
  • নিরাপত্তা প্রত্যাহার তিন বিজেপি বিধায়কের
  • মানুষের কাছে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত
  • কর্মীদের নিরাপত্তা নেই, তাই নেবেন না

এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করলেন,  শিলিগুড়ির তিন বিজেপি বিধায়ক। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা যতদিন সুনিশ্চিত হবে, ততদিন তাঁরা কেউ কেন্দ্রর নিরাপত্তা কর্মী নেবেন না। তাঁরা কি দল ছাড়বেন এমন প্রশ্ন কেউ কেউ ভাসিয়ে দিলেও তাঁরা জানিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকতেই তাঁরা বিধায়ক হয়েছেন। জন বিচ্ছিন্ন হতে চান না। তাই নিরাপত্তারক্ষী নিতে চান না তাঁরা।

কারা ছাড়লেন নিরাপত্তা রক্ষী

শিলিগুড়ির তিন জায়েন্ট কিলার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির আনন্দময় বর্মন এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

লকেটর দেখানো পথেই হাঁটছেন তাঁরা

এর আগে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে নিরাপত্তা ছেড়েছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রার্থীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এই তিন বিধায়কের নিরাপত্তা ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

শঙ্কর ঘোষ কি বলছেন?

ভোটের আগেই শিলিগুড়ির বিধায়ক জানিয়েছিলেন জয়লাভ করলেও নিরাপত্তা ব্যবহার করবেন না তিনি। কারণ, স্কুটিতে ঘোরাফেরা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি সাধারণ মানুষ। সাধারণ থাকতে চাই। শিলিগুড়ির মানুষ আমার ভাই-বন্ধু-দাদা বা অভিভাবক।শিলিগুড়িতে এমন কোনও সমস্যা নেই, যার জন্য় নিরাপত্তারক্ষী নিতে হবে।

আনন্দময় উবাচ

এদিকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন জানিয়েছেন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি না। মানুষের কাছে গেলে মানুষ নিরাপত্তারক্ষী দেখে ঘাবড়ে যেতে পারে। তাতে জন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় থেকেই যায়। তা ছাড়া রাজ্য জুড়ে যেখানে দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা নেই, তাতে নিজে কীভাবে নিরাপত্তা নিই।

শিখাদেবীর দাবি

ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি যে এলাকার বিধায়ক, সেখানকার অধিকাংশ মানুষই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। নিরাপত্তা নিয়ে সেই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা ভয় পাবেন। তাঁরা সমস্যার কথা জানাতেই ভয় পাবেন। সেই কারণেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্যদিকে রাজ্যের মানুষ, বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা দিতে না পেরে প্রতিবাদে নিরাপত্তারক্ষী নেবেন না। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে বিবেচনা করবেন।

Advertisement

 

Advertisement