scorecardresearch
 

মোবাইল নিয়ে নেওয়াতে অভিমান, সিলিং ফ্যানে ঝুলল বজবজের দশম শ্রেণির ছাত্রী

স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় মোবাইল সব সময় রাখার প্রয়োজন নেই বলে মেয়ের কাছ থেকে ফোন নিয়ে নেন মা। অভিমান আত্মঘাতী হলেন কিশোরী।

Advertisement
আত্মঘাতী কিশোরী আত্মঘাতী কিশোরী
হাইলাইটস
  • গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলল কিশোরী
  • বজবজে জুটমিল কর্মীর পরিবারে শোকের ছায়া

মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হলো দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় কথা হারিয়েছেন ছাত্রীর মা। বাবার অবস্থাও তথৈবচ। এত সামান্য ঘটনায় এমন পদক্ষেপ করবে মেয়ে, ভাবতে পারেননি তাঁরা।

বজবজ মেহেতা রোডের ঘটনা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের, বালুরঘাটের ৪৫/সি মেহেতা রোড এলাকার ঘটনা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেতা রোডের বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডল পেশায় জুটমিল কর্মী। সুভাষবাবুর তিন সন্তান ও স্ত্রী সহ ছোট্ট পরিবার। স্ত্রী রানু মন্ডলও পারিবারিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে একটি দোকানে কাজ করেন।

মোবাইল নেওয়াতেই বিপত্তি

তাঁদের অবর্তমানে ঘরেই থাকত তিন সন্তান। এতদিন অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল মেয়ের কাছে থাকলেও, ১৬ নভেম্বর থেকে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে নবম থেকে স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় মোবাইল সব সময় রাখার প্রয়োজন নেই বলে মা ইচ্ছাকৃতভাবেই ফোনটি তাঁর সঙ্গে দোকানে নিয়ে যায়। আর তাতেই বেজায় চটে যায় বজবজ ম্যানুয়াল গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী, সুভাষ বাবুর মেয়ে।

সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল কিশোরী

বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বেরিয়ে যাবার পর আনুমানিক নটা তিরিশ নাগাদ সুভাষবাবুর বড় ছেলে ঘরে ঢুকে তার বোনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাবাকে ফোন করে জানায়। পরে বজবজ পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে বজবজ ফাঁড়ির পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সমগ্র ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

Advertisement