প্রথমে গোলাপ, তারপরেই ধস্তাধস্তি। বামেদের ধর্মঘটকে ঘিরে এমনই চিত্রের স্বাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমানের কার্জন গেট অঞ্চল। সিপিআইএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে শুক্রবার (Friday) রাজ্যজুড়ে ধর্মটের ডাক দেয় বামেরা (Left Front)। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে এদিন মিছিল বের করেন সিপিআইএমের (CPIM) কর্মী সমর্থকেরা। সেই মিছিলের পরেই ঘটে যায় এই ঘটনা।
জানা গেছে এদিন, সিপিআইএমের পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জেলা কার্যালয় থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করেন কর্মী সমর্থকেরা। মিছিল পৌঁছায় কার্জন গেটে। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের হাতে প্রথমে গোলাপ তুলে দেন সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকেরা। কোনও কোনও পুলিশ কর্মী গোলাপ নিলেও কেউ আবার তা প্রত্যাখ্যানাও করেন। এরপরেই সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করেন ধর্মঘটন সমর্থনকারীরা। যারা জেরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। বচসা চরমে উঠলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর ধর্মঘটকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ঘটনার জেরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে এদিন জেলার বর্ধমান - আরামবাগ রোডের মিরেপোতা বাজারে রাস্তার মাঝে বেঞ্চ পেতে অবরোধ করেন সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকেরা। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সরিয়ে এলাকায় ওই জায়গায় পৌঁছান স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা। দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তিও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
অন্যদিকে ধর্মঘটেরর সমর্থনে এদিন মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বামপন্থী যুব ও কংগ্রেস কর্মীরা। সরকারি বাস আটকে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। ঝান্ডা হাতে রাস্তায় বসে যান আন্দোলনকারীরা। খবর পয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাদের হাতে গোলাপ তুলে দেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে গোলাপ নিতে না চাইলে কংগ্রেস ও বাম নেতাদের জোরাজুরিতে গোলাপ নেন পুলিশ কর্মীরা।