Digha Tazpur: এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে কাঁকড়া খেয়ে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সৈকত শহর তাজপুরে। সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। কী কারণে তাঁর মৃত্যু, জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, সামুদ্রিক কাঁকড়া কি প্রাণঘাতী?
সোদপুরের বাসিন্দা
কারণ গত কয়েক মাসে দিঘায় এমন কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কাঁকড়া খাওয়ার কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবারও একই ঘটনা ঘটল। মৃত ওই পর্যটকের নাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৬১ বছর। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর এলাকায়। তারা শনিবার দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে কোন স্কিমে কত সুদ মিলছে, জেনে নিন
আরও পড়ুন: LIC IPO সম্ভাব্য কত তারিখে আসছে বাজারে? জেনে নিন
আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সিতে এই লক্ষণগুলো মোটেই অবহেলা নয়, মা-শিশুর ক্ষতি হতে পারে
কাঁকড়া খেয়ে সমুদ্রস্নানে গিয়েছিলেন
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর কাঁকড়া দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন সুদীপবাবু। তারপর তিনি যান সমুদ্রে স্নান করতে। এর খানিকক্ষণ পর শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। তবে তখন আর কিছু করার ছিল না। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন তারা।
দিঘা থেকে তাজপুর
শনিবার দিঘা থেকে রবিবার তাঁরা তাজপুরে গিয়েছিলেন। সপরিবারেই তাঁরা গিয়েছিলেন তাজপুরে। দুপুরে একটা হোটেলে খাবারের সঙ্গে সামুদ্রিক কাঁকড়াও খেয়েছিলেন। তারপর তার শরীরে অস্বস্তি অনুভব হয়। প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তবে সমুদ্রে নামার পর তা বেড়ে যায়।
দিঘা কোস্টাল থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। কাঁকড়া খাওয়ার জন্যই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে?সে ব্যাপারে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এখনও কিছু জানাতে পারেনি।
আগেও এমন বেশ কয়েকটা ঘটনা
এমন ঘটনা এর আগেও হয়েছিল। সেটা ২০২১ সালের নভেম্বরে ঘটনা। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা সৌম্যদীপ শিকদারের মৃত্যু হয়েছিল সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে। এরপর বীরভূমের এক তরুণীও সামুদ্রিক কাঁকড়া খাওয়ার পর মারা যান বলে খবর।
দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণির মতো সৈকত শহরে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন। সেখানে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া মেলে থরে থরে। তা খাওয়ার লোক সামলানো যায় না অনেকের পক্ষেই। তবে সেই খাবার খেয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।