"দিনে দূরে ঠেলে, দিনান্তে নিলে কাছে।" বর্ষায় হাহাকার করে শেষমেষ ভরা শীতে কাতারে কাতারে ইলিশ উঠছে জেলেদের জালে। শুক্রবার বড়দিনের ঠিক আগে দিঘায় ধরা পড়লো প্রচুর পরিমাণে জলের রূপোলি ফসল ৷
শুক্রবারই দিঘায় সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের জালে প্রায় দেড় হাজার কিলো ইলিশ উঠেছে ৷ বড়দিনের আগে এমন ইলিশ মেলায় খুশি মৎস্যজীবীরা ৷ ইলিশ মানেই সব সময় চাহিদা তুঙ্গে। তবে বর্ষায় বাড়তি চাহিদা থাকে কারণ ওই সময় ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি ৷ কিন্তু, মরশুমি মাছ হওয়ায় বর্ষাকাল ছাড়া অন্যন্য সময় হিমঘরের ইলিশ খেয়েই রসনা তৃপ্তি করতে হয় বাঙালিকে ৷ সেখানে ডিসেম্বরের হাড়হিম ঠান্ডায় টাটকা ইলিশ জালে ধরা পড়লে তা হবে সোনায় সোহাগা ৷
মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির দাবি, আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেই ইলিশের অভ্য়াসের পরিবর্তন হয়েছে। তাই অসময়ে ইলিশের ঝাঁক মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে ৷ আগে বছরের এই সময় ছোট ইলিশ জালে ধরা দিলেও ডিম ছাড়ার পর এত বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যেত না ৷ জানা গিয়েছে, এই মাছ খোকা বা পোনা নয়, বাংলাদেশের ভাষায় যাকে জাটকা বলে তাও নয়, বরং পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী মাছ ৷
এক-একটি মাছের ওজন এক থেকে দেড় কেজি ৷ ফলে আর কী, দারুণ মজা। সাধারণত, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল হয়ে এই মাছের ঝাঁক গভীর সমুদ্রে ফেরে ৷ সেই সময়েই এগুলি ধরা পড়েছে ৷ এই মুহূর্তে দিঘা ও দিঘা লাগোয়া ওড়িশায় সবথেকে বেশি ইলিশের ঝাঁক ঘোরাফেরা করছে ৷ আর সে স্বাদে ভাগ বসাচ্ছে এ রাজ্য়ের মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীদের আশা, বড়দিনের সময় চড়ুইভাতির মরশুম। সে সময় ইলিশ পাওয়া গেলে চাহিদা বাড়বে।দামও ভালো পাওয়া যাবে ইলিশের ৷ তাতে লাভের মুখ দেখতে পাবেন সাধারণ জেলে থেকে বড় মাছ ব্যবসায়ীরা ৷ অন্যদিকে, মাছের বহর দেখে খুশি স্থানীয় ক্রেতা ও পর্যকরাও ৷ বরাতও মিলছে। তাই ইলিশ খেতে হলে আপাতত দিঘার মোহনায় ঘুরে বেড়াতে পারেন।