সরস্বতীপুজো করলেন শামিপত্নী হাসিন জাহান। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করছেন হাসিন। সরস্বতী মূর্তির সামনে আম বাঙালির মতোই তিনিও নৈবেদ্য সাজিয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছেন। সঙ্গে শামি ও হাসিনের মেয়ে ছাড়াও হাসিনের পরিবারের কিছু কচিকাঁচাকেও দেখা যাচ্ছে ছবিতে। তাঁর পুজো পছন্দ করছেন হাসিনের ভক্তরা। তাঁরাও তাঁকে সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ভারতের তারকা পেস বোলার বাংলার মহম্মদ শামির সঙ্গে দীর্ঘদিন আলাদা থাকেন হাসিন। তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন দুজনকে একসঙ্গে দেখাও যায় না। ইতিমধ্যেই শামি, হাসিনের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। হাসিনের তরফ থেকে খোরপোশ দাবি করা হয়েছিল। সম্প্রতি দীর্ঘ পাঁচ বছরের লড়াইয়ের পর ভারতীয় তারকা পেসার মহম্মদ শামির কাছ থেকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান মাসে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খোরপোশ আদায় করেছেন। গত সোমবারই এমনই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
২০১৮ সালেই শামির কাছ থেকে খোরপোশ বাবদ ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন হাসিন। আরও ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন মেয়ের পড়াশোনার খরচ বাবদ। কিন্তু সেই সময় আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসিন নিজে মডেলিং করে আয় করেন। তাই শামিকে কোনও খোরপোশ দিতে হবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে লড়াই চালিয়ে যান হাসিন। আর এদিন আলিপুর আদালত নির্দেশ দিল, হাসিনকে অন্তর্বর্তী খোরপোশ বাবদ মাসিক ৫০ হাজার এবং তাঁর মেয়ের জন্য প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে শামিকে। অর্থাৎ ভারতীয় পেসারের থেকে মাসে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পাবেন হাসিন।
যদিও তাতে সন্তুষ্ট হননি হাসিন। হাসিনের আইনজীবীর দাবি, এক বছরে শামির (Mohammad Shami) আয় অন্তত ৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। মডেল হিসেবে হাসিনের আয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হলেও জীবনযাপনের মান ধরে রাখতে ও মেয়ের পিছনে খরচের জন্য শামির মোটা অঙ্কের খোরপোশ দেওয়া উচিত। সেই মামলাতেই এদিন আদালত প্রতি মাসের ১০ তারিখে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিল। যদিও আদালতের এহেন সিদ্ধান্ত সাময়িক স্বস্তি পেলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন হাসিন। তিনি জানান, শামি বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। সেখানে তাঁর আয় অনেকটাই কম। তাছাড়া মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপনের মান বজায় রাখতে আরও অর্থের প্রয়োজন। তবে ভারতীয় পেসার আগেই জানিয়েছিলেন, মেয়ের খরচের টাকা দিতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।