কোচবিহারের মাথাভাঙায় বুধবার রাত দখলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় রাস্তা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল আলপনা। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলাকারীদের মারো জখম হন মাথাভাঙ্গা পুরসভার এক আধিকারিক। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠেছে মাথাভাঙ্গা জুড়ে। আঁচ পৌঁছয় উত্তরবঙ্গ সহ কলকাতা
এরপরই আন্দোলনে প্রতিবাদীদের ওপর হামলা এবং রাস্তায় আঁকা আলপনা মুছে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুধবার ফের রাত দখল করেছিল সাধারণ মানুষ। এই আন্দোলনের মাঝেই রাস্তা থেকে মুছে দেওয়া হয় আলপনা। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের বেদম প্রহারে আহত হয়েছেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার এক আধিকারিক। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে মাথাভাঙ্গাজুড়ে। ঘটনার পর থেকেই এলাকা যথেষ্ট থমথমে। ঘটনার পর সেখানে আসেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষ্যপতি প্রামাণিক। এরপরই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এফআইআরও দায়ের হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রতিবাদীদের শায়েস্তা করার নিদান দিয়েছিলেন। সেই উসকানিতেই এই ঘটনা বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বুধবার এদিন সন্ধ্যা থেকেই মাথাভাঙ্গার চৌপথিতে মঞ্চ বেঁধে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল ভারতীয় গণনাট্য সংস্থা ও পশ্চিমবঙ্গ লেখক শিল্পী সংঘ। এদিন রাতে অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে আচমকা সেখানে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হানা দেয় বলে অভিযোগ। সেই দলে ছিলেন মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলে জানা গিয়েছে। আচমকাই কয়েকজন অনুষ্ঠানের এক উদ্যোক্তা প্রদ্যুত সাহাকে মারধর করে। এরপরই হামলাকারীরা রাস্তায় আঁকা আলপনার ওপর সাদা রঙ এনে মুছে দেন।