Malda News: পঞ্চায়েত প্রধান বাংলাদেশি নাগরিক, TMC নেত্রীকে সরান হল পদ থেকে

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে এক বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়। ভুয়ো বাবার নাম ব্যবহার করে এবং সাক্ষীদের সই জালিয়াতি করে ওবিসি শংসাপত্র বের করে ছিলেন। আর সেই সুবাদের তিনি ভোটে জিতে প্রধানের চেয়ারে বসে ছিলেন। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। প্রধান পদ বাতিল হতেই দফতরে মিষ্টি মুখ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক দাবি তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজাও চরমে উঠেছে।

Advertisement
পঞ্চায়েত প্রধান বাংলাদেশি নাগরিক, TMC নেত্রীকে সরান হল পদ থেকে TMC নেত্রী লাভলিকে সরান হল পদ থেকে

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে এক বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়। ভুয়ো বাবার নাম ব্যবহার করে এবং সাক্ষীদের সই জালিয়াতি করে ওবিসি শংসাপত্র বের করে ছিলেন। আর সেই সুবাদের তিনি ভোটে জিতে প্রধানের চেয়ারে বসে ছিলেন। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। প্রধান পদ বাতিল হতেই দফতরে  মিষ্টি মুখ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক দাবি তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজাও চরমে উঠেছে। 

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনের প্রধান পদ বাতিল হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে সেই জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন উপ-প্রধান একরামুল হক। জানা গিয়েছে, লাভলি খাতুন বিগত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করেন। প্রধান আসন সংরক্ষিত থাকায় সুযোগ বুঝে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হয়ে যান। লাভলি খাতুনের কাছে ভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী রাহেনা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন লাভলি খাতুন বাংলাদেশের নাগরিক। জাল নথিপত্র বের করে জাল ওবিসি শংসাপত্র করে তিনি প্রধান হয়েছেন। হাইকোর্টে অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেন মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায়। মহকুমা শাসকের দফতরে একাধিকবার শুনানি হয়। শুনানিতে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসে। ভুয়ো বাবার নাম ব্যবহার করে এবং সাক্ষীদের সই জালিয়াতি করে লাভলি খাতুন ওবিসি শংসাপত্র বের করে ছিলেন। সেই রিপোর্ট দেওয়া হয় হাইকোর্টে। কোর্টের নির্দেশে তারপর শোকজ করা হয় লাভলি খাতুনকে। তারপরেই এবার বাতিল প্রধান পদ। যদিও এখনো সদস্য পদ খারিজ হয়নি। সেই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। সঙ্গে বিরোধীদের দাবি সদস্য পদ বাতিলের সঙ্গে গ্রেফতার  করা হোক লাভলী খাতুনকে।

দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন- আশঙ্কা হচ্ছে যে  তাণর বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। এর আগে সংশাপত্র বাতিল হয়েছে। আসল সত্য সামনে এসেছে। চাপে পরে প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র আশিষ কুন্ডু বলেন- জাল শংসাপত্র বের করে প্রধান পদে বসে তাঁর তো পদ বাতিল হবেই। বাংলায় সঠিক ভাবে প্রশাসন চলছে বলেই বাতিলটা অন্য কেউ করেনি আমাদের প্রশাসন করেছে। প্রশাসন আইন মেনে কাজ করছে। তাই প্রশাসন সব খতিয়ে দেখে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জানান- লাভলি আগে কংগ্রেস ছিল, পরে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে তৃণমূলে চলে যায়। এই ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

সংবাদদাতা- মিলটন পাল
 

POST A COMMENT
Advertisement