Bengal Governor Cv Ananda Bose's: গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করা যাবে রাজ্যপালকে, চালু 'মোবাইল রাজভবন'

Bengal Governor Cv Ananda Bose's: বুধবারই কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের দুপুরে কোচবিহারে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় তা বানচাল হয়ে যায়। টানা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে করে কোচবিহার যাওয়ার ঝুঁকি নেননি রাজ্যপাল। তার আগের দিনই আকাশপথে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন শিলিগুড়ি চলে যান রাজ্যপাল। অবশেষে দু’দিন পর কোচবিহার এলেন রাজ্যপাল। এবং পৌঁছেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement
গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করা যাবে রাজ্যপালকে, চালু 'মোবাইল রাজভবন'গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করা যাবে রাজ্যপালকে, চালু 'মোবাইল রাজভবন'
হাইলাইটস
  • গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করা যাবে
  • জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল
  • চালু 'মোবাইল রাজভবন'

Bengal Governor Cv Ananda Bose's: মোবাইল রাজভবনের মাধ্যমে মানুষের কথা শুনছেন রাজ্যপাল। কী এই মোবাইল রাজভবন। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে রাজ্যপাল এমন লোকদের ফোনকল গ্রহণ করছেন, যাঁরা স্পষ্টতই পঞ্চায়েত সম্পর্কিত ঘটনায় হিংসার মুখে পড়েছেন। রাজ্যপাল কথা বলে তাঁদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছেন।

শুক্রবার কোচবিহারে ভ্রমণ করার সময়, তিনি তাঁর পিস রুম নম্বরে একটি ফোন কল পান। ফোনে ওই ব্যক্তি জানান যে, তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী এবং রাজনৈতিক হিংসা ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই কথা শুনে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন।

গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত কোচবিহার। তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা। রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের বিধানসভা এলাকা দিনহাটা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে রক্তাক্ত হয়েছে এলাকা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। জখম হয়েছেন অন্তত ছ’জন। এই আবহে রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি চাইছে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। অন্যদিকে, তৃণমূল তাকিয়ে রাজ্যপালের কর্মসূচির দিকে।

গাড়ি থামিয়ে করা যাবে অভিযোগ

এদিকে ভোট নিয়ে আর কোনও অশান্তি চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন কোনও ঘটনার কথা কানে এলেই তিনি যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ চাইলে তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে অভিযোগের কথা জানতে পারেন। তিনি শুনবেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন। শুক্রবার রাতে কোচবিহার সার্কিট হাউসে পৌঁছে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, শনিবারই তিনি ‘অশান্ত’ দিনহাটা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসকবলিত এলাকায় যাবেন। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে পুলিশ প্রশাসন এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন।

বুধবারই কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের দুপুরে কোচবিহারে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় তা বানচাল হয়ে যায়। টানা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে করে কোচবিহার যাওয়ার ঝুঁকি নেননি রাজ্যপাল। তার আগের দিনই আকাশপথে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন শিলিগুড়ি চলে যান রাজ্যপাল। অবশেষে দু’দিন পর কোচবিহার এলেন রাজ্যপাল। এবং পৌঁছেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার রাতে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেছি। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাচ্ছি। কোচবিহারেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পেয়েছি। আমি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় সফর বাতিল করেছি। কিন্তু আজ এবং আগামীকাল আমি এখানেই (কোচবিহারে) আছি। এলাকার প্রকৃত পরিস্থিতি ঠিক কী, সেটা নিজে দেখতে চাই।’’ তিনি এ-ও বলেন, ভোটের আগে রাজনৈতিক অশান্তিতে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবেন। তাছাড়া যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি চাইলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানান রাজ্যপাল বোস। বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার তাদের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। রাজ্যপাল সকাল ৮টায় সময় দিয়েছেন। রাজ্যপাল জানান, ‘হেল্প লাইন’ও চালু হচ্ছে।

রাজ্যপালের গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে

ভোটের আগে অশান্তির অভিযোগ নিয়ে আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার বার্তা দেন তাঁকে। ভোটমুখী বাংলায় লাগাতার অশান্তি এবং হিংসার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হিংসা রুখতে রাজভবনে খোলা হয়েছে ‘পিস রুম।’ তা নিয়ে শাসকদল কটাক্ষ করলেও রাজ্যপাল থামেননি। শুক্রবার তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন আগেই কলকাতার রাজভবনে ‘পিস রুম’ তৈরি হয়েছে। এখন তিনি বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। তাই মানুষ চাইলে তাঁকে সরাসরি ভোট সম্পর্কিত হিংসা, ঝামেলা ইত্যাদির অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আমাকে চাইলে থামাতে পারেন। আমি গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁদের কথা শুনব। যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানে নিজে যাব। আমি মানুষের সঙ্গে আছি। শান্তি ফেরাতে কোচবিহারের মানুষের সঙ্গে আছি।’’

 

POST A COMMENT
Advertisement