Infiltration Agent Arrest: গোপনে সেটিং করে নিরাপদে একের পর এক বাংলাদেশীকে ভারতে পৌঁছে দিয়েছে। সেখানে সে অন্য একটি চক্রের হাতে তুলে দিত অনুপ্রবেশকারীদের। তারা বাংলাদেশিদের জন্য ভুয়ো ভারতীয় নথি তৈরি করে দিত। অবশেষে পুলিশের জালে সেই এজেন্ট। কত লোককে কোথায় এনে দিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ।
বিপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সে নাকি বহুদিন ধরে বাংলাদেশিদের এদেশে আসতে সাহায্য করছিল। অনুপ্রবেশের পর এজেন্টদের কাজ শেষ হয়। তখন সক্রিয় হয় আরেকটি চক্র। তারা বাংলাদেশিদের জন্য ভুয়ো ভারতীয় নথি তৈরি করে দেয়। বিপুল ছাড়াও এধরনের বেআইনি কার্যকলাপে আর কারা জড়িত, সেটা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ২৩ জানুয়ারি এ ফুলবাড়ির আমাইদিঘি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদের মধ্যে একজন, আতাউর রহমান। সে বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ জেলার মাধবপুরের বাসিন্দা। আতাউরের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ফিরদৌস আলম নামে আরও একজনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকগঞ্জ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল আতাউর। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ফিরদৌস মানিকগঞ্জে পৌঁছে আতাউরের সঙ্গে দেখা করে। তারপর তাকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যদিও গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এনজেপি থানার পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। বিচারকের নির্দেশে একাধিকবার দুজনকে পুলিশ হেপাজতে থাকতে হয়। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক তথ্য মেলে। এরপর বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে হদিস পাওয়া যায় বিপুলের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অধিকারীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় বিপুলকে। রাতেই তাকে এনজেপি থানায় আনে পুলিশ। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং-এর বক্তব্য, ‘অভিযুক্তকে তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সবকিছু জানার চেষ্টা চলছে।’