Bison And Leopard Attacks At Dooars: উত্তরবঙ্গে একটি বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্ত্রীকে গুঁতিয়ে দিল একটি পূর্ণবয়স্ক বাইসন। বাইসনের গুঁতোয় গুরুতর জখম হলেন মহিলা। ঘটনার ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের উত্তর হলদিবাড়ির নেপালিবস্তি এলাকায়। অন্যদিকে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ির মেটেলিতে রাতেই বাড়ির উঠোনে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। বাড়ির পোষা কুকুরের চিৎকারে ঘুম ভাঙতেই উঠোনে মূর্তিমানকে দেখে আতঙ্কে হাড় হিম হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ নর্থ সিকিমে ব্যাপক তুষারপাত, কালবৈশাখীর প্রমাদ গুনছে উত্তরবঙ্গও
বাইসনের গুঁতোয় জখম মহিলা
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি বাইসন। এলাকার বাসিন্দা বিমল রাজভরের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী শঙ্করী রাজভরকে আক্রমণ করে বাইসনটি। তিনি সেই সময় বাড়িতে গরুদের খাওয়াচ্ছিলেন। পিছন দিক থেকে হামলা চালায় বাইসনটি। বাইসনের আক্রমণে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে ওই মহিলাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহিলাকে আক্রমণ করার পর বাইসনটি সংকোশ নদী পার হয়ে অসমের দিকে জঙ্গলে প্রবেশ করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বাইসনের হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকায় আগেও বাইসনের দেখা মিললেও ঘরে ঢুকে আসার মতো ঘটনা তেমন ঘটেনি। তবে কিছুদিন আগেই ডুয়ার্সের মেন্দাবাড়ি এলাকায় গরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বাইসনের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার।
বাড়ির উঠোনে ঘুরছে চিতাবাঘ
অন্যদিকে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ির মেটেলি এলাকায় বাড়ির উঠোনে হানা দিল একটি চিতাবাঘ। বাড়ির পোষা কুকুরের চিৎকারে ঘুম ভাঙতেই উঁকি মারেন বাইরে। এরপর দৃশ্য দেখে আতঙ্কে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে বাড়ির লোকজনের। মেটেলি ব্লকের শালবাড়ির বাসিন্দা অমর সূত্রধরের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে হানা দেয় চিতাবাঘের দল। তাঁরা দেখেন বাড়ির খোঁয়ার থেকে একটি ছাগল ধরে নিয়ে চলে যায় চিতাবাঘটি। তবে ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকাতেও। সহজে শিকার মেলায় ফের হানা দিতে পারে চিতাবাঘটি বলে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। বনদফতরের তরফে তাঁরা পাহারা দাবি করেছেন।এর আগেও অবশ্য ওই এলাকায় চিতাবাঘ এসে বাড়ি থেকে ছাগল নিয়ে গিয়েছে। তবে রাতে বাড়িতে ঢুকে পড়ায় ভয় বেড়েছে। বন দপ্তরের খুনিয়া স্কোয়াডে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এলাকায় বাঘ ধরার খাঁচা পাতার দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।