Lokesabha Election 2024: লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট এখনও প্রকাশ না হলেও দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়েই ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল গেরুয়া বাহিনী। শিলিগুড়িতে পদ্মের ছবি আঁকা হল দেওয়ালে দেওয়ালে। ভোটও ঘোষণা হয়নি, আবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী কে হবেন? তাও কেউ জানে না এখনও। তার আগেই দেওয়াল লিখন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।রাজনৈতিক মহলের ধারণা ভোটের হাইপ তুলতে আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিল বিজেপি।
এদিন শহর শিলিগুড়ির চার্চ রোড এলাকায় বিজেপির তরফে দেওয়াল লিখন কর্মসূচি চলে। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে তৃতীয়বার মোদী সরকারের উত্থানের কথা তুলে ধরা হয়। বিজেপির জয় নিয়ে আশাবাদী বিস্তা এদিন অবশ্য নিজের প্রার্থী পদ নিয়ে অবশ্য পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি। রাজু বিস্তা জানান, দেওয়ালে নাম লেখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের মনে নাম লেখানো। আর সেটা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, মোদী সরকার আবারও জয় পাবে এবং তিনিও আবার মানুষের সেবার সুযোগ পাবেন। এবারও দার্জিলিং লোকসভা আসনে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি? এ নিয়ে যদিও দলীয়ভাবে অবশ্য কোনও বার্তা নেই।
২০০৯ সাল থেকে পাহাড়বাসীকে নতুন প্রার্থী উপহার দিয়েছে বিজেপি। ২০০৯ সালে যশবন্ত সিনহা, ২০১৪ সালে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, ২০১৯ সালে রাজু বিস্তা। প্রতি বছরই প্রার্থী বদলে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও বিজেপি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যার ফলস্বরূপ, এবারে রাজু বিস্তার বদলে অন্য প্রার্থী দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে জেলা বিজেপির একাংশ।
প্রার্থী বদল হলে যে নামটি পাহাড়ে ভাসছে, সেটি হল প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আমেরিকা-থাইল্যান্ডে ভারতের রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে দেশের বিদেশ সচিব, ২০২৩ সালে জি ২০ সম্মেলনের প্রধান, একাধিক শীর্ষ স্থানীয় পদে ছিলেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মোদী ঘনিষ্ঠ এই আমলাকেই এবার প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে পারে বিজেপি। এমনটাই রটেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের অন্দরে। তিনি অবশ্য শিলিগুড়িতে সোস্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু করে দিয়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন হর্ষবর্ধনবাবু।
বিজেপির একটি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী যদিও চাইছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলাই প্রার্থী হন। তবে দলের তরফে কোনও মন্তব্য নেই।
গত তিনবারের লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে জমি শক্ত করলেও সেই পরিস্থিতি যে এখন নেই, তা মেনে নেওয়া হচ্ছে দলের অভ্যন্তরেই। দার্জিলিং আসনটি যে এবার বিজেপির ‘কেক ওয়াক’ হবে না সেটা নিশ্চিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার কিছুটা আভাস পাওয়া গিয়েছে। পাহাড়ের আঞ্চলিক দল বিজিপিএম থেকে হামরো পার্টি প্রভাব বিস্তার করেছে গত কয়েক বছরে। ভিন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে এবারেও ‘কুমির ছানা’ দেখানোর মত পরিস্থিতি নেই বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের। সেই কারণেই ভাবা হচ্ছে নতুন প্রার্থীর নাম।