Coachbehar Drowning Case:বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই শিশু সহ একই পরিবারের চারজন। কোচবিহারে এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। নিজেদের গাড়িতে তাঁরা ফিরছিলেন। গাড়িটি পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরের জলেই চারজনের সলিল সমাধি ঘটে। রবিবার রাতে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকায়৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়৷ ঘটনায় শিক্ষক দম্পতি এবং তাঁদের দুই শিশু সন্তানের এই মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা৷ এ দিন সকালে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ পুলিশ কর্তারা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ পুলিশের অনুমান, দ্রুত গতিতে থাকার কারণে আর কুয়াশা থাকায় সম্ভবত গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান সঞ্জিতবাবু৷
জানা গিয়েছে, মৃত ওই দম্পতি কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় থাকতেন৷ মৃত সঞ্জিত রায় পেশায় স্কুল শিক্ষক৷ তাঁর স্ত্রী বিপাশা সরকারও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা৷ রবিবার নিজেদের গাড়িতেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন সঞ্জিৎ বাবু৷ কোচবিহারের কালজানি কুড়ারপাড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কালভার্টের উপর থেকে গাড়িটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়৷ গাড়িতেই আটকে পড়েন সঞ্জিৎ রায় (৩৫), তাঁর স্ত্রী বিপাশা সরকার (৩৩) এবং আড়াই বছরের শিশুপুত্র এবং ছ বছরের শিশুকন্যা৷ বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে এসে চারজনকে দ্রুত উদ্ধর করে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন৷ যদিও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চারজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন৷