Alternative Roads To Darjeeling: দার্জিলিং পর্যটনে যানজটে নাকাল পর্যটক ও স্থানীয়রা, বিকল্প সড়কের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি মোর্চার। পর্যটন মরশুমে দার্জিলিংগামী রাস্তা কার্যত যানজটে নাকাল। সোনাদা থেকে ঘুম হয়ে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির লাইন যেন নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন পর্যটক ও স্থানীয় মানুষজন।
এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করিকে চিঠি দিয়ে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং বিকল্প রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বালাসন, পুসুমবিং, ছোটা পুবুং, ঘুম হয়ে নতুন রুট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন।
রোশনের অভিযোগ, “প্রচণ্ড যানজটের কারণে দার্জিলিংয়ে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ জরুরি।” যদিও গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছে। তাদের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, মন্ত্রীর কাছে সরাসরি চিঠি না দিয়ে, সাংসদের মাধ্যমে দাবি জানানো হলে তা ফলপ্রসূ হত।
বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়ং পর্যন্ত কিছু বিকল্প রাস্তা থাকলেও, কার্শিয়ং থেকে জোড়বাংলো পর্যন্ত মূল ভরসা একটাই রাস্তা। পর্যটন মরশুম শুরু হতেই সেই রাস্তাই যানজটের ফাঁদে ফেলছে পাহাড়কে। জিটিএ জানিয়েছে, লেবং হয়ে এক বিকল্প সড়ক তৈরির প্রস্তাব আগেই পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সুখিয়াপোখরি, সিমানা, পশুপতি হয়ে মিরিক-শিলিগুড়ি যাতায়াতের পরিকল্পনাও রয়েছে, তবে সেগুলোর জন্য রাস্তা চওড়া করা প্রয়োজন।
এদিকে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট জানিয়েছেন, হিলকার্ট রোড চওড়া করে টয়ট্রেনের লাইন রাস্তার উপরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে রাজ্য সরকারের হাত থেকে রাস্তার দায়িত্ব নিয়ে তা এনএইচআইডিসিএল-এর হাতে তুলে দিতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।