North Bengal Weather Forecast: মৌসুমী অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের ফলে টানা বৃষ্টি চলবে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন জারি থাকবে ভারী বর্ষণ (Weather Update)। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিবকে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার দরুন ইতিমধ্যেই তিস্তা অধ্যুষিত নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব বলে জানা গিয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার দরুন ইতিমধ্যেই তিস্তা অধ্যুষিত নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। মেখলিগঞ্জ, ক্রান্তি, শালুগাড়া থেকে ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানের সরানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ মুখ্য সচিবের। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং,কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করলেন মুখ্য সচিব।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে সিকিমে ধস। নর্থ সিকিমের আপার ডোংজুতে ধস নেমেছে। সিকিমের একাংশের থেকে বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি গ্রাম। সংযোগকারী ঝুলন্ত সেতুর মুখে ধস। দুশ্চিন্তায় আপার ডোংজুর বাসিন্দারা। মূলত, তিস্তা অধ্যুষিত নিচু এলাকাগুলি নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বলে খবর। আর তার জেরে মেখলিগঞ্জের ৫৫ টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
শালুগাড়াতে ৮২ টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। বুধবারই জলপাইগুড়ি টটগাঁওতে ৪৩ টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছিল।অন্যদিকে পদ্মা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফলে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকে ৬৭ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহার বাদে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বাকি জেলাতে রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) পূর্বাভাস। শনিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে। ওই দিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরের জেলাগুলিতে।