Fake Playing Note: ময়নাগুড়িতে এটিএমে 'নকল' নোট জমা করলেন যুবক, তারপর...

Fake Playing Note: তারিখ ও সময়ের রেকর্ড দেখে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁরা একজনকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সেই ফুটেজ পুলিশকে দেন।

Advertisement
ময়নাগুড়িতে এটিএমে 'নকল' নোট জমা করলেন যুবক, তারপর...Fake Playing Note: নকল নোট (নমুনা ছবি)

Fake Playing Note: শিশুদের খেলার জন্য তৈরি টাকার নোট এটিমে ভরে এসে পুলিশের জালে ময়নাগুড়ির এক যুবক। নোটগুলি দেখতে প্রায় হুবহু আসল ভারতীয় নোটের মতো। এক ঝলকে ভাল করে না দেখলে বোঝা যাবে না, আসল না নকল। তবে ভিতরের লেখাগুলি পড়লে বোঝা যায়, এগুলি খেলার জন্য বানানো টাকা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২৫ জুনের। খেলনা টাকা পকেটে নিয়ে তিনি পরিবারের সঙ্গে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে যান। সেখানেই সিডিএমে সেই নোটগুলো জমা করে চলে আসেন। জাল কিংবা নষ্ট নোট জমা হয় যে ট্রেতে, এই জাল নোটগুলিও মেশিনের আলাদা ট্রেতে চলে যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই মেশিন খুলে দেখতে পান, সেখানে ২৩টি পাঁচশো টাকার খেলনা বা জাল নোট রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নোটগুলো মেশিনে ঢুকিয়েছে।

তারিখ ও সময়ের রেকর্ড দেখে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁরা একজনকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সেই ফুটেজ পুলিশকে দেন। পুলিশ খোঁজখবর চালিয়ে শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভ্রজ্যোতি গুহকে গ্রেফতার করে।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, অনলাইনে এই নোট কিনেছিল অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে সেই ‘খেলনা’ নোট ব্যবহারও করে বেশ কিছু সামগ্রীও কিনেছেন বলে জানিয়েছো। কিন্তু কী ভাবে? পুলিশ ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে। ওই নোটগুলো দিয়ে ধৃত আর কী কী করেছেন, এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না সমস্তটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনা শুনে চক্ষু চড়কগাছ এলাকবাসীর।

 

 

POST A COMMENT
Advertisement