মালদায় সিপিএম-কংগ্রেসের আশ্রয় শিবিরে 'হামলা', অভিযুক্ত TMC

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে খুব কাছেই হরিশ্চন্দ্রপুর হেড পোস্ট অফিসের সামনে কংগ্রেস থেকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী প্রার্থী তাহমিনা খাতুনের বাড়িতে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম, কংগ্রেস জোটের ১১ জন প্রার্থীকে নিয়ে শিবির চলছিল। সেই সময় রাত ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে মুখ ঢাকা অবস্থায় কিছু দুষ্কৃতী শিবিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

Advertisement
মালদায় সিপিএম-কংগ্রেসের আশ্রয় শিবিরে 'হামলা', অভিযুক্ত TMCসিপিএম-কংগ্রেসের যৌথ শিবিরে হামলা-গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তপ্ত মালদা
হাইলাইটস
  • সিপিএম-কংগ্রেসের যৌথ শিবিরে হামলা
  • গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তপ্ত মালদা

Malda Harischandrapur Clash: মালদায় পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার ঘটনাস্থল হরিশ্চন্দ্রপুর। এখানে  সিপিএম এবং কংগ্রেসের যৌথ শিবিরে হামলার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দু'দলের তরফে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে খুব কাছেই হরিশ্চন্দ্রপুর হেড পোস্ট অফিসের সামনে কংগ্রেস থেকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী প্রার্থী তাহমিনা খাতুনের বাড়িতে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম, কংগ্রেস জোটের ১১ জন প্রার্থীকে নিয়ে শিবির চলছিল। সেই সময় রাত ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে মুখ ঢাকা অবস্থায় কিছু দুষ্কৃতী শিবিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। লাঠি এবং বন্দুক নিয়ে শিবিরের মূল ফটকে বারবার ধাক্কা দিতে থাকে। তাহমিনা খাতুনের স্বামী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিবিরের প্রার্থীদের চিৎকারে স্থানীয়দের ঘুম ভেঙে যায়। এরপরই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্ব।

কংগ্রেস নেতাদের দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্যের শাসকদলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে তারা মরিয়া হয়ে গিয়েছে। ক্রমাগত আক্রমণ করছে। গতকাল তারা জোটের প্রার্থীদের অপহরণ করার জন্য এসেছিল। হামলার ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী জোটের প্রার্থীদের অপহরণ করতে এই কান্ড ঘটিয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

 

POST A COMMENT
Advertisement