Malda Medical College Unrest: মালদা মেডিক্যাল কলেজে এক ডাক্তারি ইন্টার্নকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অন্য এক ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হলেও অধ্যক্ষ বা কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে ও পদক্ষেপ করার দাবিতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। অবশেষে ঘেরাও তুলে নিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি চাপের মুখে ও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অবশেষে অভিযুক্ত ইন্টার্নকে শোকজও করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হলেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
ঘটনার জেরে মালদা মেডিকেলে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। সারা রাত ধরে চলে সেই অবরোধ। শনিবার দুপুরে ফের ঘেরাও করা হয় অধ্যক্ষ ও মেডিকেল সুপারকেও।
আন্দোলনকারীরা জানান, শোকজ নোটিশ ধরানোয় আপাতত তাঁরা অবস্থান তুলে নিচ্ছেন। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আন্দোলনকারী ছাত্র সৌম্যদীপ কাঞ্জি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজ তাঁরা অবস্থান তুলে নিচ্ছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ বিচার ছাড়া তাঁরা হাল ছাড়বেন না। থ্রেট কালচারের শেষ দেখার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সার্জিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন এক মহিলা ইন্টার্ন। কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে বিবাদ হয় এক পুরুষ ইন্টার্নের। অভিযোগ এরপর ওই মহিলা ইন্টার্নের এক ঘনিষ্ঠ ছাত্র ওই পুরুষ ইন্টার্নকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
ঘটনার পরদিন দু’পক্ষকেই নিয়ে আলোচনায় বসেন মেডিকেল সুপার। আপাতত মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু শুক্রবার আক্রান্ত ইন্টার্নের পরিবারের সদস্যরা মালদা মেডিকেলে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ফের উত্তেজনা ছড়ায়। দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ জমা দেন মেইলের মাধ্যমে। কিন্তু অভিযোগ জমা দেওয়ার পরেও সমাধান মেলেনি। তারপরই ঘেরাও করে পদক্ষেপের দাবি করতে শুরু করেন ইন্টার্নদের একটা অংশ।