মালদায় হারের কারণ নিয়ে বিস্ফোরক সাবিত্রীমালদার মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তৃণমূল বিধায়ক বললেন, তৃণমূল দলটা কংগ্রেস , সিপিএম, বিজেপি ভেঙে হয়েছে। তাই তাঁদের মন একদিকে আর ক্ষমতা একদিকে। তাঁদেরই ভূমিকার জন্য এটা হয়েছে। এছাড়া চক্রান্ত। আর তার জন্য দলে অর্ন্তঘাতের ফলে মালদায় ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের।
সাবিত্রী মিত্র বলেন,ভোট আসলে আমরা ভোটের কাজ করি। এটা যাতে বারো মাস করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। ভোটের দুদিন আগেও ভোটার লিস্টে লোকের নাম তোলার ক্ষমতা আছে। ইলেকশন কমিশনের কাছে থেকে অনুমতি মেলে। সেটা আমাদের করতে হবে। আমরা অনেকগুলো বুথে হেরেছি। কেন আমরা হারলাম এটা আর পর্যালোচনা করি না। সেই ব্যাপারগুলো এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। তিনি ভালোই বলেছেন, খারাপ কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে মালদা জেলার দুটো লোকসভা কেন্দ্রে খারাপ ফল হয়েছে। সাবিত্রী মিত্র অভিযোগ করে বলেন এখানে আওয়াজের ভিত্তিতে ভোট হয়। ২০২৬ সালে বলল ডালুবাবু ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুসলিম প্রার্থী হয়ে জিতে গেলেন। আসলে এখানে আওয়াজে ভোট হয়। দক্ষিণ মালদায় কিছু করতে পারিনি আমরা। কিন্তু উত্তর মালদায় করা যেত।
সাবিত্রী মিত্র আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন মালদাকে নিয়ে সত্যি আলাদা ভাবে বসতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বেশি আমাদের রেজাল্ট খারাপ। আমাদের বিধানসভাতেও ভরাডুবি হয়েছে। আমি নিজে স্বীকার করছি। এটা আমার ব্যর্থতা। এটা ছাড়া আমার বলার কিছু নাই। ২০১১ সালে আমি জিতলাম আর পরে ২০১৬ সালে আমি হারলাম। এত উন্নয়ন করেছি তারপরেও। আর কী বলবো। অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্ব যদি কাজ করতে তাহলে হারতো না। আমাদের তৃণমূল দলটা হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি ভেঙে হয়েছে। মন একদিকে আর ক্ষমতা একদিকে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে দুরন্ত ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, তার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, মালদা, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক আসনে দলের পরাজয় নেতৃত্বের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই হারগুলির জন্য দলীয় কোন্দল একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবারের বৈঠকে এই নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মালদায় ফল খারাপ হওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্ব, ব্লক নেতৃত্ব দায়ী। আপনারা মন্ত্রী হয়েছেন, পদ পেয়েছেন, কিন্তু ভোটের কাজে পিছিয়ে থেকেছেন। যুদ্ধের সময় যে মায়ের সঙ্গে বেইমানি করে, সে তৃণমূলের কর্মী নয়।' এই প্রসঙ্গে এবার পাল্টা বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল সাবিত্রীর গলায়।
সংবাদদাতা- মিল্টন পাল