গতকাল, বৃহস্পতিবার চা বাগানে চা পাতা তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার, কার্শিয়াঙের সভা থেকে শিক্ষকদের শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, পাহাড়ে শিক্ষকদের ৫৯০টি শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও কার্শিয়ঙে ১ হাজার ২০০ জনকে পাট্টা দেওয়া হবে। বাড়বে জিটিএ কর্মীদের বেতন। পাশাপাশি সংশোধন করা হচ্ছে বেতন কাঠামো।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পাহাড়েও হবে আইটি হাব। পাহাড়ের যে সমস্ত স্কুলে শিক্ষক সমস্যা রয়েছে সেখানে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়রাই অগ্রাধিকার পাবেন। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের জন্য রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ফর হিল্স গঠন করা হবে। তারাই দার্জিলিং, কালিম্পঙের ১৪৬টি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে যে ৫৯০টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে এই কমিশনই নিয়োগ করবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাহাড়ের জন্য আলাদা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন গঠন করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, দার্জিলিং, কালিম্পঙের জন্য পৃথক ভাবে জেলা স্কুল বোর্ডও গঠন করা হবে। তার জন্য শুক্রবারই একটি অ্যাডহক কমিটি গড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে, দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াংকে ঘিরে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে বহু শিল্প সংস্থা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। পাশাপাশি, এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরবঙ্গের ৩ লক্ষ চা শ্রমিককে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'যাঁরা বাড়ি চাইবেন বাড়ি, যাঁরা পাট্টা চাইবেন তাঁদের আমরা পাট্টার ব্যবস্থা করে দেব।'
২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের লাইন পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'দার্জিলিংয়ের ৩ লাখ ৩২ হাজার ঘরে পানীয় জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৩ হাজার বাড়িতে পৌঁছে গেছে। কালিম্পঙে টার্গেট ৬৫ হাজার বাড়ি, পৌঁছেছে ২২ হাজার ঘরে। মনে রাখবেন দিল্লি নয়, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা নিজেদের টাকায় করেছি।'
সূত্রের খবর, জিটিএ-র তরফে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি একাধিক দাবি রাখা হয়েছে। দীর্ঘ বেশ কিছু বছর ধরে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। পাহাড়ে আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কমিশন গড়ার দাবি বহুদিন ধরে জানিয়ে আসছে জিটিএ।