NJP-Howrah Vande Bharat Express: ভারতের দ্রুততম ট্রেন ক্য়াটেগরির বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসে বিপত্তি। এবার এনজেপি-হাওড়া বন্দেভারতে দেখা গেল অদ্ভুত দৃশ্য। ছাতা মাথায় ট্রেনের ভিতরে যাত্রা করছেন যাত্রীদের কেউ কেউ। প্রিমিয়াম এসি ট্রেনের ভিতরে বসে ছাতা খুলে বসে আছেন, এ কেমন কথা? কী এমন ঘটল? চলুন দেখে নিই ব্যাপারখানা কি?
অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে এনজেপি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন (NJP) থেকে হাওড়াগামী সেমি হাইস্পিড ট্রেনটিতে, যা কার্যত নজিরবিহীন। জানা গিয়েছে ট্রেনটির ওই কামরায় এসি বিকল হয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে রেল। যে কোচটির এসি বিকল হয়ে গিয়েছে, তা বুধবার মেরামতি করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছিল কোচটিতে। মেরামত করা হয়ে গিয়েছে। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এনজেপির থেকে নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। কিন্তু মালদা পেরোতেই বিপত্তি ঘটে সি-১৩ কোচে। প্রথমে অল্প জল পড়লেও ট্রেন গতি বাড়াতেই জল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। ছাদ থেকে জল পড়তে থাকায় মাথা বাঁচাতে অনেকেই ব্যাগ থেকে ছাতা বের করে মাথার ওপর ধরেন। যাঁদের সঙ্গে ছাতা ছিল না, তাঁদের ভিজতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ট্রেনটি বোলপুরে পৌঁছালে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, যার জেরে রেলের তরফে সাময়িক মেরামতি করে দেওয়া হয়। হাওড়ায় পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয় ট্রেনটির।
পরে এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেও অনেকের অভিযোগ। যদিও তা মানতে নারাজ রেলকর্তারা। এসি বন্ধ থাকলে জানালা-দরজা বিহীন বন্দেভারত ট্রেনে এতটা পথ যাত্রা করা সম্ভব হয় না। তবে যে যুক্তি দেওয়া হোক না কেন, ছাদ চুইয়ে জল পড়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রেলকে। আর সে কারণেই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে পূর্ব রেলের তরফে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অনেক সময় পুরনো কোচ হলে, তাতে ভারী বর্ষায় অনেক দূরপাল্লার ট্রেনের ছাদ চুইয়ে জল পড়ে, কিন্তু দ্রুততম, প্রিমিয়াম ক্য়াটেগরির ট্রেনে এসি লিক করে জল পড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। অনেকেই তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এসি বিকল হয়ে যাওয়ার যন্ত্রটির থেকে বৃষ্টির ধারার মতো জল পড়তে থাকায় ভিজতে হল যাত্রীদের। কেন এমন হবে, এত টাকা দিয়ে টিকিট কেটে নিম্নমানের পরিষেবা কেন মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।