North Bengal Weather update: শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল মোটামুটি সপ্তমী-অষ্টমী থেকেই।যারা একটু বেশি রাতে পুজো দেখেছেন তারা শীতের কামড় ভালোই টের পেয়েছেন। এখন লক্ষ্মীপুজো পার হয়ে কালীপুজো চলে এসেছে।উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে পাহাড় ও লাগোয়া এলাকায় মোটামুটি শীতের আমেজ। যে কেউ যারা বাংলার শীতের সঙ্গে পরিচিত এলে রীতিমতো শীত উপভোগ করতে পারবেন। দিনের বেলায় হালকা রোদ্দুর এবং বেলা গড়াতেই শীতের চাদরে মুড়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা। দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ে দিনের বেলাতেও এবং ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গলা এলাকায় দুপুরের পর থেকে রীতিমতো শীতের আমেজ। এখন পাকাপাকি শীত কবে পড়বে তা নিয়ে উৎসাহী এলাকাবাসী ও পর্যটকরাও।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন পাকাপাকি শীত পড়তে এখনও দিন ২ সপ্তাহ বাকি। কালীপুজোর মধ্যে শীত পড়লেও পড়তে পারে। তবে এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে শীত না পড়লেও আবহাওয়া মনোরম এবং কনকনে থাকবে। তাপমাত্রা খুব বেশি না নামলেও শীত উপভোগ করবেন উত্তরবঙ্গবাসীরা। বিশেষ করে শিলিগুড়িতে যেমন গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮-১৯ ডিগ্রি। তার সঙ্গে হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে।
যারা পাহাড় বা ডুয়ার্সে ঘুরতে যাচ্ছেন তাদের আরও বেশি শীত বোধ করছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। পাহাড়ে তো ইতিমধ্যে শীত পড়েই গিয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ং, মিরিক সহ বিভিন্ন এলাকা ঠান্ডা পড়েছে জাঁকিয়ে। এই সমস্ত এলাকার গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। এই তাপমাত্রা আগামী ১৫-২০ দিনে আরও খানিকটা নামবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মধুসূদন কর্মকার জানিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যেই শীত ঢুকবে উত্তরবঙ্গে। তখন তাপমাত্রা আরও নামবে।
তবে শীত এসে পড়ার আগে অবশ্য ফের একবার বৃষ্টি-যোগ। শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা (Rain Forecast in South Bengal) রয়েছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জূীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উপকূল অঞ্চলে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বাতাসে মিশে আগামী দু'দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝঞ্ঝা সরলে শীত পড়বে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।