Deers Are Released For Coming Tigers In Buxa Tiger Reserve: বক্সায় রয়্যাল বেঙ্গল ফেরাতে এক বছর আগেই উদ্যোগ শুরু করেছিল বন দফতর। ব্যাঘ্র সংরক্ষণে আরও এক ধাপ এগোল তারা। যদিও বাঘ নয়, আপাতত বাঘের থাকার পরিবেশ ফেরানো হচ্ছে। বাঘের খাদ্য ভাণ্ডার সুনিশ্চিত করতে বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে বক্সার জঙ্গলে ৮৬ টি চিতল হরিণ নিয়ে এল বন দফতর। শুক্রবারই তা জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। এতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বস্তি অঞ্চলে বাঘ যাতে চলে না আসে, তা অনেকটাই সুনিশ্চিত কতে হবে। আসার বিষয়টিকেও রোধ করা যাবে বলে মনে করছে বন দফতর।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অপূর্ব সেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, "বক্সার জঙ্গলে বাঘেদের খাবার জন্য সম্বর ও বার্কিং দিয়ার প্রজাতির পর্যাপ্ত হরিণ রয়েছে। তবে বাঘেরা অন্যান্য হরিণের চেয়ে চিতল হরিণ বেশি পছন্দ করে। তাই বীরভূম থেকে ৮৬ টি চিতল হরিণ বক্সার জঙ্গলে আনা হয়েছে। এরা দ্রুত বংশবৃদ্ধিও করবে।
বন দফতর সূত্রে খবর, গত বছরের প্রথম দিকে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি থেকে শেষবার চিতল হরিণ আনা হয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জঙ্গলে। গত তিন বছরে এই নিয়ে ৫০০ টিরও বেশি চিতল হরিণ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হল। সম্প্রতি চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডের তরফ থেকে নির্দেশ পেতেই হরিণ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বনদফতর।
বাঘ আসবে কোথা থেকে?
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অসম থেকে আনা হবে বাঘ। ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের চূড়ান্ত সম্মতি মিললেও কবে সেই বাঘ এনে বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হবে তা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। তবে বাঘেদের খাদ্যের আগাম জোগান হিসেবে আগামী মাসে আর এক দফায় হরিণ ছাড়া হচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পতে। ৪০০-র বেশি চিতল হরিণ (স্পটেড ডিয়ার) ছাড়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ছাড়া হবে। বাঘ আনার পর যেন তাদের খাবারের খোঁজে বাইরে বর হতে না হয় সে বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। এছাড়া বাঘের বসবাসযোগ্য় ঘাসও চাষ করা হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকে বাঘ নিয়ে আসাটা প্রায় ঠিক। তবে বাঘ আনার আগে বাঘেদের নিজস্ব স্বাভাবিক এলাকা স্বাভাবিক রাখতেই মূলত গত ৫ বছর ধরে "প্রে বেস" নির্মাণের কাজ চলছে বক্সা বাঘ বনে। যেহেতু বাঘ বাস্তুতন্ত্রতে সবচেয়ে উপরে থাকে তার নিচের দিকে এক্কেবারে ঘাষবন, তৃণভোজীদের অস্তিত্বকে জঙ্গলে বজায় রাখতে গোটা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প জুড়ে তাই ধাপে ধাপে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, চিতল হরিণ দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যেকোন অরন্যের পরিবেশে এরা খুব দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। আবার বাঘের খাবার হিসেবেও খুব সহজ টার্গেট এই চিতল হরিণ। আবার রাজ্যের বিভিন্ন সংরক্ষণ কেন্দ্র, অভয়ারণ্যে চিতল হরিণ এর অভাব নেই, সহজলভ্য।সহজেই বহন করে তুলে আনা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই বাঘের খাদ্য হিসেবে আপাতত চিতল হরিণই প্রথম পছন্দ বন দফরের।