বিশ্বকে উপহারের প্রস্তুতি উত্তরবঙ্গে, আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় ১৫টি নতুন ধান

জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ি-গরুমারা পর্যটনকেন্দ্রের কাছে ক্রান্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে এই ধানগুলি। হাইব্রিড এই ধানগুলিকে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফসল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ক্রান্তি ব্লকের চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণ চ্যাংমারিতে ওই চাষ শুরু হয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লকেও এই ধানগুলির চারা অল্প পরিমাণে রোপণ করা হয়েছে।

Advertisement
বিশ্বকে উপহারের প্রস্তুতি উত্তরবঙ্গে, আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় ১৫টি নতুন ধানবিশ্বকে উপহারের প্রস্তুতি উত্তরবঙ্গে, আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় ১৫টি নতুন ধান

সব কিছু ঠিক থাকলে নতুন একাধিক প্রজাতির ধান পেতে চলেছে ভারতীয় কৃষি। এ রাজ্যেরই উত্তরবঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি হচ্ছে প্রায় ১৫ টি নতুন প্রজাতির ধান। এই নয়া প্রজাতির ধান চাষে সাফল্য এলে তা উত্তরবঙ্গের জলবায়ুর নিরিখে ধান চাষে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে বলে কৃষি বিজ্ঞানীদের আশা। পাশাপাশি দেশের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন দিশা তৈরি করবে।

জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ি-গরুমারা পর্যটনকেন্দ্রের কাছে ক্রান্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে এই ধানগুলি।হাইব্রিড এই ধানগুলিকে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফসল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ক্রান্তি ব্লকের চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণ চ্যাংমারিতে ওই চাষ শুরু হয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লকেও এই ধানগুলির চারা অল্প পরিমাণে রোপণ করা হয়েছে।
 

লাটাগুড়ি-গরুমারা পর্যটনকেন্দ্রের কাছে ক্রান্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে এই ধানগুলি।

জলপাইগুড়ির সদর মহকুমার সহ-কৃষি অধিকর্তা ডঃ মেহফুজ আহমেদ জানান, হাইব্রিড প্রজাতির যে ধানগুলি চাষ করা হচ্ছে, সেগুলি থেকে দ্রুত ফলন দেয়। ফলে চাষিরা ধান তোলার পর আলু কিংবা অন্য সবজি চাষ করতে চাইলে তা তাড়াতাড়ি শুরু করে দিতে পারবেন। ফলে ডাবল লাভ ঘরে তুলতে পারবেন। সফল চাষ হলে একটা নতুন দিগন্ত খুলে যাবে চাষিদের কাছে। ফলে বেশিরভাগ চাষিরাই এতে উৎসাহিত হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই নতুন ধানগুলি চাষ পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলেও এখনও নামকরণ হয়নি। আপাতত অল্প কিছু জমিতে চাষ করা হলেও ধাপে ধাপে পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। চুঁচুড়া ধান গবেষণাকেন্দ্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণাকেন্দ্রেও এই প্রকল্পটিতে যৌথভাবে পেশ করা হয়েছে। হাইব্রিড প্রজাতির যে ধানের চাষ ক্রান্তিতে হচ্ছে সেগুলি বুনেট পদ্ধতির। এর অর্থ বীজতলা তৈরি না করে সরাসরি ধানের বীজ জমিতে ছিটিয়ে ধান চাষ। ফলে সময় ও অর্থ দুইয়ের সাশ্রয় হচ্ছে। বর্তমানে এই পদ্ধতি গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যাতে সব মিলিয়ে সময় কম লাগবে।

মঙ্গলবার ওই পরীক্ষামূলক ধান চাষ পরিদর্শনে এসেছিলেন চুঁচুড়ার ধান গবেষণাকেন্দ্রের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা, শস্য বিশেষজ্ঞরা, মোহিতনগর জোনাল অ্যাডাপটিভ রিসার্চ স্টেশনের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তারা। তাঁরা এসে চাষ দেখে আশা প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement