scorecardresearch
 

Gajaldoba Bhorer Alo: গজলডোবায় বন্ধ নৌকাবিহার, ভোরের আলো পর্যটনে ধাক্কা

Gajaldoba Bhorer Alo: কাশ্মীরের ডাল লেকের মতোই সুসজ্জিত শিকারায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। গজলডোবার শিকারা ভ্রমণ যেন কাশ্মীরের মতোই মনোগ্রাহী ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় সে বিষয়ে পরিকল্পনা ছকে নেওয়া হচ্ছে। গজলডোবায় তুলে আনা হচ্ছে এক টুকরো কাশ্মীর, পর্যটকদের জন্য দারুণ সুযোগ।

Advertisement
গজলডোবায় বন্ধ নৌকাবিহার, ভোরের আলো পর্যটনে ধাক্কা গজলডোবায় বন্ধ নৌকাবিহার, ভোরের আলো পর্যটনে ধাক্কা
হাইলাইটস
  • গজলডোবায় তুলে আনা হচ্ছে এক টুকরো কাশ্মীর
  • পর্যটকদের জন্য পোয়াবারো
  • দেশের সেরা শিকারা ভ্রমণের সুযোগ

Gajaldoba Bhorer Alo: উত্তরবঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে ডুয়ার্সের পর্যটকদের কাছে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা পর্যটন কেন্দ্র যাকে মুখ্যমন্ত্রী নাম দিয়েছেন ভোরের আলো। একের পর এক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে পর্যটকদের নজর টানতে। এখানকার সরকারি রিসর্টগুলি যে কোনও স্টার রিসর্টের সমতুল বা সুন্দর। সেখানে তৈরি হয়েছে সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে একটি সেতু। সেটি পর্যটকদের কাছে সেলফি জোনে পরিণত হয়েছে। সেখানে পর্যটক আকর্ষণে বাড়তি আমেজ জুড়েছিল শিকারা জোন। পর্যটকদের অনেকেই শিকারার টানেই এক-দুই রাত্রি বাড়তি কাটাচ্ছিলেন ভোরের আলোতে। কিন্তু আচমকা এল দুঃসংবাদ।

তাতেই পর্যটকদের মুখ ভার! আপাতত বন্ধ হয়ে গেল নৌকা বিহার! ফলে ঘুরতে এসে বিষণ্ণ মনে ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। বিশেষ করে মন খারাপ ছোটদের। গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্পটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্বপ্নের প্রকল্প। সাজানো গোছানো, লাক্সারি এই পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হওয়ার সময় থেকেই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ছিল তিস্তায় নৌকা বিহার।

জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নৌকাবিহার। কিন্তু কেন তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। ফলে একদিকে যেমন পর্যটকদের মন খারাপ, তেমনই রুটিরুজিতে টান পড়েছে মাঝি-মাল্লাদের। কয়েকশো পরিবার নৌকার মাঝির পেশার ওপর নির্ভর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাদের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে। 

আরও পড়ুন

পর্যটন দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেই এসে তিনি শিকারা চালু করার কথা জানিয়েছিলেন। তার আগে অবশ্য এমনিই নৌকাভ্রমণ চালু ছিল। 

কাশ্মীরের ডাল লেকের মতোই সুসজ্জিত শিকারায় ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে অভিভূত হয়েছিলেন পর্যটকরা। গজলডোবার নদীবক্ষে ৭২টি নৌকা চলাচল করত। অনেকগুলি নৌকাকে শিকারায় রূপান্তরিত করা হয়। সকলেই যাতে লাভবান হতে পারেন এমন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

গজলডোবা ভোরের আলো(Bhorer Alo)- গজলডোবা প্রকল্প বেঙ্গল সাফারি পার্কের মতোই শিলিগুড়িকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। হাতের কাছে পর্যটনের এত বড় সম্ভার হেলায় হারানো উচিত হবে না। এখানে শিলিগুড়ির বাসিন্দারা উইকএন্ড কাটাতে পছন্দ করেন। বেশিরভাগই সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন। সেটা যেমন সম্ভব, তেমনই পর্যটন দফতরের লাক্সারি ও সুদৃশ্য বাংলোতে একদিন কাটিয়ে আসাটাও মন্দ অভিজ্ঞতা নয়। একদিকে তিস্তা নদী, অন্যদিকে পাখিরালয়। খোলা হাওয়া সঙ্গে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল। রাতে হাতি আসে অহরহ। তাই থ্রিলিং এক-আধদিন কাটাতে পারেন। এখানে সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে একটি সেতু তৈরি হয়েছে সেটিও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

Advertisement

 

Advertisement