শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প ডুয়ার্স থেকে কালিম্পং হয়ে সিকিমগামী বিকল্প পথ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ভিড় জমছে অসমাপ্ত সেতু ও রাস্তা দেখতেই। বাগ্রাকোট থেকে চুইখিম হয়ে নতুন রাস্তা ও লুপ পুল দেখতে ভিড় বাড়ছে রোজই। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও একটি বড় পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। শিলিগুড়ি হয়ে সেবক রোডের সেবক সেনাছাউনি থেকে সেবক বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড করিডর তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতেও খুব কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে কালিম্পং ও সিকিমে। বর্ষার সময় একটা রাস্তা ধসে গেলেও পর্যটক ও নিত্যযাত্রীদের সমস্যা থাকবে না।
২০২৩-এর মে মাসেই ঘোষণা হয়েছিল এই রাস্তার। এবার সেই রাস্তা তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ হল। সেবক সেনাছাউনি থেকে সেবক বাজার পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বরাদ্দ করল ১,৪০০ কোটি টাকা। ফলে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বালাসন সেতু থেকে এলিভেটেড হাইওয়ের নির্মাণ শুরু হয়েছে, সেটি সরাসরি সম্প্রসারিত হচ্ছে সেবক বাজার পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রক সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এই কাজ শেষ হবে তিন বছরের মধ্যে। অর্থাৎ ২০২৮ সালেই সেবক বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি ছুটতে পারবে।
এলিভেটেড হাইওয়ের নতুন অংশের অর্থ বরাদ্দের নথিও প্রকাশ করেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী বেশ কিছু রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে পাহাড়, সমতল দুই অংশের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরালো হবে। প্রসার ঘটবে পর্যটনে। ভবিষ্যতে শিলিগুড়ি শহরকে কেন্দ্র করে রিং রোড তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন সাংসদ।
ভবিষ্যতে সেবক বাজার থেকে দ্বিতীয় করোনেশন সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সেটিকে মাথায় রেখেই করিডরটিকে সেবক বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় উড়ালপুল তৈরি হবে সেবক রেলগেট সহ আরও দুটি জায়গায়।