scorecardresearch
 

Siliguri Death Mother Daughter: সিলিংয়ে মায়ের দেহ, বিছানায় মেয়ের লাশ; শিলিগুড়িতে জোড়া মৃত্যুতে রহস্য

Siliguri Death Mother Daughter: জানা গিয়েছে মৃতদের নাম লতা সরকার (৪৮) ও মেয়ের নাম তিয়াসা সরকার (২৩)। ঘটনাস্থলে ভক্তিনগর থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে তিয়াসার গলায় বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। যা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।

Advertisement
সিলিংয়ে ঝুলছে মায়ের দেহ, বিছানায় মেয়ের লাশ; রহস্য দানা বাঁধছে শিলিগুড়িতে সিলিংয়ে ঝুলছে মায়ের দেহ, বিছানায় মেয়ের লাশ; রহস্য দানা বাঁধছে শিলিগুড়িতে

Siliguri Death Mother Daughter: ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মায়ের দেহ, বিছানায় পড়ে রয়েছে মেয়ের লাশ। এমনই বীভৎস দৃশ্যের সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি। রবিবার দুপুরে বন্ধ ঘর থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য শিলিগুড়ির শান্তিনগরে। ঘরের দরজা ভেঙে দেহ দু'টি উদ্ধার করে আশিঘর থানার পুলিশ। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার। জানা গিয়েছে মৃতদের নাম লতা সরকার (৪৮) ও মেয়ের নাম তিয়াসা সরকার (২৩)। ঘটনাস্থলে ভক্তিনগর থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে তিয়াসার গলায় বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। যা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, শান্তিনগর এলাকার বহু দিনের পুরোনো বাসিন্দা এই সরকার পরিবার। পরিবার অনেক বড় হলেও একই বাড়িতে থাকেন সকলে। বাড়ির বড় ছেলে সাধন সরকারের স্ত্রী লতা ও মেয়ে তিয়াসা। তিয়াসা শিলিগুড়ি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এদিন এক আত্মীয় সেই বাড়িতে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। পরিবার সূত্রে খবর, মা ও মেয়ে শনিবার রাতে রোজকার মতোই খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়েছিলেন একই ঘরে। সাধনবাবু আলাদা শোন। রবিবার সকালে প্রতিদিনের মত বাজার সেরে কাজেও বেরিয়ে পড়েন সাধনবাবু। অন্যদিকে সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরোতে চললেও, ঘরের দরজা না খোলায় খানিকটা চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের অন্য সদস্যরা। ফোন করে সাধনবাবুকে ডাকেন তাঁরা। তারপরই দরজা ভেঙে দেখেন, ঝুলন্ত অবস্থায় লতা সরকারের দেহ। অন্যদিকে মেয়ে তিয়াশা সরকারের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। যা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন তাঁরা।

কী কারণে এই ঘটনা তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের কেউই। সাধনহবাবুর ভাই দুলালবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান,  দাদা সকালে কাজে বেরিয়ে যায়। দুপুরের পরেও দরজা না খোলায় আমাদের সন্দেহ হয়। ফোন করে দাদাকে ডেকে এনে দরজা ভেঙে আমরা সকলেই চমকে গিয়েছি। কেন এমন ঘটনা ঘটাল মা-মেয়ে, তা আমরা বুঝতেই পারছি না। গতকাল রাতেও সকলের সঙ্গেই কথা হয়েছে তাঁদের। স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে। তবে দাদারা যে কোনও সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছেন, তা বৌদির কথাবার্তায় টের পাওয়া যেত বলে মনে জানিয়েছেন তিনি। 

Advertisement

 

Advertisement