scorecardresearch
 

North Bengal River Camp Tent: নদীর কুলকুল শব্দ, পাশেই পাহাড়; Tent-এ রাত কাটানোর উত্তরবঙ্গের সেরা ৪ ঠিকানা

North Bengal River Camp Tent: খোলা নদীর চরে তিরতিরে নদীর জলের শব্দ আর ঝিঁঝি পোকার ডাক। অল্প আলোতে আপনি একা বা আপনার সঙ্গীরা। নদীর চরে আগুন জ্বালিয়ে বনফায়ার। এমন অভিজ্ঞতা নিয়েছেন কি? নাহলে আজ আপনাদের সেরা ৪ টি এমন জায়গার কথা জানিয়ে দেব, যা স্বর্গের চেয়েও সুন্দর। পুরনো ঘোরার অভিজ্ঞতা থেকে একেবারে আলাদা।

Advertisement
তিরতিরে নদীর পারে Tent-এ রাত কাটানোর উত্তরবঙ্গের সেরা চার ঠিকানা তিরতিরে নদীর পারে Tent-এ রাত কাটানোর উত্তরবঙ্গের সেরা চার ঠিকানা
হাইলাইটস
  • তিরতিরে নদীর পারে Tent-এ রাত কাটান
  • উত্তরবঙ্গের সেরা চার ঠিকানা

North Bengal River Camp Tent: উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় তো অনেক ঘুরেছেন। পাহাড় থেকে জঙ্গল, নদী থেকে চা বাগান, সৌন্দর্য অনেক উপভোগ করেছেন। আজ আপনাদের আমরা খোঁজ দেব উত্তরবঙ্গের সেরা রিভারসাইড টেন্টের। খোলা নদীর চরে তিরতিরে নদীর জলের শব্দ আর ঝিঁঝি পোকার ডাক। অল্প আলোতে আপনি একা বা আপনার সঙ্গীরা। নদীর চরে আগুন জ্বালিয়ে বনফায়ার। এমন অভিজ্ঞতা নিয়েছেন কি? নাহলে আজ আপনাদের সেরা ৪ টি এমন জায়গার কথা জানিয়ে দেব, যা স্বর্গের চেয়েও সুন্দর। পুরনো ঘোরার অভিজ্ঞতা থেকে একেবারে আলাদা।

ঝালং

১. ঝালং রিভার ক্যাম্প

ভুটান বর্ডারের কাছে অবস্থিত পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা নদীর ধারে গড়ে ওঠা সাজানো গোছানো রিসর্ট ঝালং রিভার ক্যাম্প, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দপ্তর দ্বারা পরিচালিত। সুন্দর এই ভ্যালিতে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী, নদীর ওপর বড় বড় বোল্ডার, নদীর দুদিকে পাহাড়, জঙ্গল। সেই পাহাড়ের গা বেয়ে হাঁটা পথ উঠে গেছে আরও ওপরে কোথাও। নদীর ধারে ধারে তৈরি হয়েছে গোটা 6 কটেজ। ৪ টি এসি, দুটি নন এসি। আগে ঝালং এ পাকাপোক্ত কটেজ ছিল না। নদীর ধার বরাবর ছিল টেন্ট। সেখানেই ট্যুরিস্টরা ক্যাম্পিং করত। বছর দুয়েক হল টেন্ট সরিয়ে পাকাপোক্ত কটেজ হয়েছে। প্রতিটি কটেজ থেকেই জানলার পর্দা সরালে দেখা যায় জলঢাকার শান্ত নিবিড় বয়ে চলা, সামনের পাহাড়, নীল আকাশ, মেঘেদের আনাগোনা। ইচ্ছে হলেই নেমে পড়া যায় জলে। কিংবা বোল্ডার এ বসে জলে পা ডুবিয়ে দেখে নেওয়া যায় নতুন একটা সূর্যোদয় বা সন্ধ্যে নামা।

কীভাবে যাবেন? 

পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যায়। খরচ মাথাপিছু ভাগ করলে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। শিলিগুড়ি থেকে বাসে যাওয়া যায় খরচ খুব কম। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন বাগডোগরা কিংবা এনজেপি থেকে। ২ ঘন্টা সময় লাগবে। তবে নিকটবর্তী স্টেশন নিউ মাল জংশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে নেমেও গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। খরচ একটি কম পড়বে।

Advertisement
ত্রিবেণী

২. ত্রিবেণী রিভার টেন্ট

আপনি যদি পাহাড় প্রেমি হন এবং পাহাড়ের মাঝে কাম্পিং করে রাত কাটানো যদি আপনার শখ হয় বা সমুদ্রের বিচের ধারে বসে সময় কাটানো ও ভলিবল খেলা বা বোটিং, রিভার রাফটিং ও ফিশিং সব সুবিধা পাবেন এখানে। এই সমস্ত কিছু পেয়ে যাবেন উত্তরবঙ্গের দুর্দান্ত পর্যটক স্থান ত্রিবেণীতে( Triveni Camping)। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৫৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই স্থানটি তিস্তা ও রঙ্গিত নদির মিলন স্থল এবং এই মিলন স্থলেই তৈরি হয়েছে সাদা বালির এক বিস্তীর্ণ চর যেখানে পৌঁছে গেলে অন্য জগতে পৌঁছে যাবেন। দুদিকে পাহাড় মাঝখানে নদীর চরে আপনি রাতে যখন টেন্টে শুয়ে থাকবেন, অন্যরকম অনুভূতি হতে বাধ্য।

কীভাবে যাবেন? 

অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যায়। খরচ মাথাপিছু ভাগ করলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। শিলিগুড়ি থেকে বাসে যাওয়া যায়, খরচ খুব কম। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন বাগডোগরা কিংবা এনজেপি থেকে। সেবকের কাছেই ১ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ির যে কোনও জায়গা থেকে।

সুনতালেখোলা

৩. সুনতালো খোলা রিভার ক্যাম্প

দার্জিলিং জেলার ছোট একটুকরো জায়গা সুনতালেখোলা৷  সুনতালে মানে ভুটানি ভাষায় কমলালেবু। এক সময় এখানে কমলালেবু হত। এখনও কিছু কিছু গাছ রয়েছে। লাটাগুড়ি থেকে খুব কাছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায় অপূর্ব৷ ব্ল্যাক ইগল, হিল প্যাটরিজ, হোয়াইট থ্রোটেও ফ্যানটেল, স্কারলেট মিনিভেট ও আরও নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে৷ অপূর্ব তাদের রং৷ রঙের বৈচিত্রে তাজ্জব বনে যেতে হয়৷ এখানকার যে ঝোরাটি আছে তার নামও সুনতালে। তবে রিভার ক্যাম্পটি জলঢাকা নদীর পারে। সামসিং পৌঁছে বহু পর্যটক ট্রেক করে সুনতালেখোলা পৌঁছান৷ ট্রেকিং-এর পথে প্রকৃতিকে আর একটু কাছ থেকে উপভোগ করা যায় যেন৷ শান্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতি একেবারে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে৷

কীভাবে যাবেন?

শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। রুটের কোনও গাড়ি নেই। ট্রেকার বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায় সুনতালেখোলা৷ থাকার খরচ টেন্ট পিছু ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। খাওয়ার খরচ আলাদা। এটি পর্যটন দফতরের প্রপার্টি। সরাসরি বাড়ি বসে অনলাইনে বুক করে আসতে পারেন।

মূর্তি

৪. মূর্তি রিভার ক্যাম্প

মূর্তি নদীর ধারে হলেও এই রিভার ক্যাম্পটি আসলে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের গা ঘেঁষে। পাহাড় নেই। তবে জঙ্গল আছে। অন্য রিভার ক্যাম্পগুলি থেকে এর চরিত্র একদম আলাদা। সমতলের মধ্যে একমাত্র রিভার ক্যাম্প। যেখানে নদী আর জঙ্গলে ঘেরা। নদীও এখানে অনেক শান্ত। এখানে এলে মনে হবে বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিই। নানা রকম পাখি, হরিণ,ময়ুর এমনিতেই আশপাশে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এখানে থেকেই গরুমারায় জঙ্গল সাফারি সহ সব রকম ঘোরাঘুরি করতে পারেন। সন্ধ্যায় ফিরে এসে নিঝুম পরিবেশে বনফায়ার আর একান্ত নিজের মতো সময় কাটানোর দুর্দান্ত ঠিকানা।

কীভাবে যাবেন? 

এটিও পর্যটন দফতরের প্রপার্টি। ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যায়। খরচ মাথাপিছু ভাগ করলে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এমনিতে টেন্ট হিসেবে ভাড়া ২০০০ টাকার কাছাকাছি। শিলিগুড়ি থেকে ৬০ কিলোমিটার। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন বাগডোগরা কিংবা এনজেপি থেকে। ২ ঘন্টা সময় লাগবে। তবে নিকটবর্তী স্টেশন নিউ মাল জংশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে নেমেও গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। খরচ একটি কম পড়বে।

Advertisement

 

Advertisement