Darjeeling Toy Train Accident: ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ল টয়ট্রেন। এক সপ্তাহের মধ্য়ে তৃতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে টয়ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন পর্যটন স্টেক হোল্ডার থেকে স্থানীয়রা। বিশেষ করে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে টয়ট্রেনের রেপুটেশনের উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ অনেকের।
বৃহস্পতিবার ফের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। পাগলাঝোরা থেকে গয়াবাড়ি যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত ট্রেনটি পর্যটকে বোঝাই ছিল। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর সেটিকে ফের ট্র্যাকে তুলে নিয়ে কার্শিয়াংয়ের পথে রওনা হয় ট্রেনটি। এতে প্রায় ১ ঘন্টা পর্যটকদের রাস্তাতেই আটকে থাকতে হয়। তার দুদিন আগেই ঘুম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে দার্জিলিংয়ের ডালির কাছে টয়ট্রেনের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনে থাকা যাত্রী ও পর্যটকদের মধ্যে। যদিও ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে ঘটনায় ফের একবার টয়ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয়বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল টয়ট্রেন। বারবার এই ঘটনায় কেন ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শদাতা তথা পর্যটন ব্যবসায়ী তাপসসাধন রায় এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এতে পর্যটন ও পর্যটকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। অনেকেই ভয় পাচ্ছেন টয়ট্রেন বুকিং করতে। তিনি বলেন, "আমরা এ বিষয়ে সংগঠনে আলোচনা করেছি আসলে কিছু কিছু জায়গায়.রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। রেলকে বলব ওই জায়গাগুলিতে বিশেষভাবে রেল ট্র্যাকগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে ও নজর দিতে। "
এর আগে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) একটি যাত্রীবোঝাই গাড়ি টয়ট্রেনের লাইনের উপর চলে আসায় সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে টয়ট্রেনটি ঘুম থেকে দার্জিলিং ফিরছিল। পথে দার্জিলিং স্টেশন থেকে ৪ কিমি দূরে ডালি এলাকায় মেরি ভিলার কাছে দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে।
তার আগে একাধিকবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে টয়ট্রেন। গত ২৫ এপ্রিলই শিলিগুড়ি থেকে তিনধারিয়া যাওয়ার পথে সুকনার কাছে উলটে যায় টয়ট্রেনের একটি ইঞ্জিন। চালক ও সহকারী চালক সামান্য আহত হন। এছাড়াও একাধিকবার টয়ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।