Sevoke Road Block: পুজোর ছুটির গন্ধ মিলতেই পাহাড়-ডুয়ার্সের পথে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। কারও গন্তব্য কার্শিয়াং, কারও বা বক্সা, জলদাপাড়া, বা চাপরামারির ঘন সবুজ অরণ্য। দেবীপক্ষ শুরুর আগেই ভিড় জমতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু এবার সেই পথেও কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে সেবক সংলগ্ন শিলিগুড়ি-ডুয়ার্স সড়কে ভেঙে পড়ে এক বিশালাকৃতির গাছ। ঘটনাস্থল, সেবক করোনেশন সেতুর খুব কাছেই কালিম্পং বনাঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকাল হতেই সেই গাছ নজরে আসে পর্যটকবাহী গাড়িগুলোর চালকদের। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বনকর্মীরা পৌঁছে গাছ কাটার কাজ শুরু করলেও ততক্ষণে দীর্ঘ যানজটে নাকাল বহু পর্যটক।
গাড়ির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালদহ, কলকাতা, হুগলি কিংবা নদিয়ার পর্যটকদের মুখে একটাই প্রশ্ন, ‘‘এই রাস্তাতেই যাব? আর কতক্ষণ?’ এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে প্রশাসন। পুলিশ জানাচ্ছে, আপাতত সেবক-মালবাজার রুট বন্ধ। পর্যটকদের ডুয়ার্স পৌঁছতে বিকল্প রুট ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে গজলডোবা, ওদলাবাড়ি হয়ে বা শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ঘুরেও পৌঁছনো যাবে ডুয়ার্সে। ফলে সেবকের যানজট এড়িয়ে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা সম্ভব।
পাহাড়ে ধসের সমস্যা থাকায় অনেকেই ডুয়ার্সকে বেছে নিচ্ছেন। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যটকদের কাছে শর্ট ট্রিপের জন্য ডুয়ার্স দারুণ জরুরি। জলপাইগুড়ির এক হোটেল ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে যে ভিড় শুরু হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এবার অনেকেই পুজোর আগে ঘুরতে আসছেন। কিন্তু এই রাস্তায় ঝামেলা হলে পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হয়, আমাদেরও ক্ষতি।’’
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতরও।
পুজোর আগে ছুটি কাটাতে এসে পর্যটকরা যাতে ‘বিপত্তির শিকার’ না হন, সেদিকেই নজর প্রশাসনের। তবে আপাতত ডুয়ার্সের পথে যেতে চাইলে প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও রকম পরিস্থিতির। কারণ খাতায় কলমে ঘোর শরৎ হলেও বর্ষার প্রকোপ চলছেই। ফলে এখনও ঘোরার মজা নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।