উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বুধবারই ভোটার লিস্টে একজনের জায়গায় ৩ জনের নাম রয়েছে বলে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিতর্কে এবার নাম জড়িয়ে গেল রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ৷ অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের নাম দু’টি জায়গার ভোটার তালিকায় রয়েছে ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷
দুই জায়গায় ভোটার কার্ড
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল চৌধুরীর দুই জায়গায় ভোটার কার্ডে নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে। একটি রয়েছে বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। আর একটি রয়েছে শ্বশুরবাড়ি বালুরঘাটে। বাপের বাড়িতে কোয়েল চৌধুরী নাম থাকলেও বালুরঘাটে রয়েছে কোয়েল মজুমদার নামে ভোটার কার্ড। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দায় নিতে নারাজ সুকান্ত
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করেন কোয়েল চৌধুরী। অভিযোগ, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করার পরও বাপের বাড়ি জলপাইগুড়ির ভোটার কার্ড থেকে কোয়েল চৌধুরীর নাম কাটা পড়েনি। প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই বিষয়টি নজরে আসতেই নির্বাচন কমিশনে সুকান্তর স্ত্রী কোয়েল নিজে জলপাইগুড়িতে থাকা ভোটার কার্ডের নাম বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিতর্কের দায় নিতে নারাজ ৷ বরং তাঁর দাবি, একটি জায়গার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে তাঁর স্ত্রী ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন ৷ তার পরও কেন নাম বাদ গেল না, এর দায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ৷ তিনি এই নিয়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, 'আমার স্ত্রী এক সময় জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন। তারপর ভোটার কার্ড চেঞ্জ করিয়েছেন। এখানে এসে ভোটার হয়েছেন। এটা একটা নন ইস্যু। ইস্যু করার চেষ্টা। তাই আমি আগেই বিডিও-কে জানিয়েছি যাতে জলপাইগুড়ির নামটা কাটানো হয়। আর ভোটার কার্ড তৈরির কাজ কে কে করেন? জেলা প্রশাসন করেন। কারও নাম দু’জায়গায় থাকলে তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ডিএম-রা কাজ করেন। আমার নির্দেশে তো করেন না।'