বন্যপ্রাণী ও বনবস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘাত এড়াতে বক্সার বনবস্তি গুলোতে সার্চলাইট বিলি শুরু করলো বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
দিনকয়েক আগেই বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হদিশ পেয়েছে বনদফতর। তারপর থেকেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গতিবিধি জানতে বক্সার জঙ্গলে এবং বনবস্তি গুলোতে নতুন করে আরও বেশ কিছু ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও বনদফতরের কর্তারা বেশ কয়েকবার দফায় দফায় বিভিন্ন বনবস্তির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একদিকে যেমন সন্ধ্যার পর বনবস্তির মানুষদের ঘর থেকে বের না হবার পরামর্শ দিয়েছেন অন্যদিকে রাতের বেলায় সার্চলাইট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই মোতাবেক বুধবার থেকে বক্সা টাইগার রিজার্ভ এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন বনবস্তি গুলোতে সার্চলাইট বিলি শুরু করেছে জেলার দুই জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বক্সা টাইগার রিজার্ভের পশ্চিম বিভাগের উত্তর শিবকাটা বনবস্তিতে রাজাভাতখাওয়া পূর্ব রেঞ্জের তরফ থেকে ৪০০ পরিবারকে সার্চলাইট বিলি করা হয়।এছাড়াও উত্তর শিবকাটায় ৬ নম্বর সেকশনে একটি কংক্রিটের ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের কাজ শুরু করা হয় বক্সা টাইগার রিজার্ভের পক্ষ থেকে।
রাজাভাতখাওয়া পূর্ব রেঞ্জের জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির তহবিল থেকে এই ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের কাজ করা হবে।এছাড়াও সার্চ লাইট গুলো জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও বনদফতরের তহবিল থেকে বনবস্তি বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।
এতদিন ধরে হাতি, বাইসন, লেপার্ডের সাথে মানুষের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।এবার নতুন করে ভালুক ও রয়াল বেঙ্গল টাইগারের সাথে বনবস্তি বাসিন্দাদের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিন্তায় রয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।