হার্টিকালচার প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ন্যায্য প্রাপ্য অধরা,ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক। একশো দিনের হার্টিকালচার প্রকল্পের অধীনে কলা চাষে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।মহকুমাশাসকের দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। মালদার চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাহাবাজপুর সংসদের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম চাঁচলের মহকুমা শাসক দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও-সাথে কথা বলা হচ্ছে জানান তিনি।অভিযোগ প্রমানিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, উদ্যানপালন বিভাগে কলা চাষ করে চাষিরা যাতে স্বনির্ভর হন,সেজন্য এমজিএনআরইজিস প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৮২ টাকা করে হার্টিকালচারে বরাদ্দ হয়েছিল।খরবা পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সংসদের চাষিরা সেই সুযোগও পায়।
পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার সাহাবাজপুর সংসদেও কতিপয় চাষি হার্টিকালচার প্রকল্পের আওতাধীন হন।তবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে প্রধান ও উপপ্রধান ওই এলাকার ১১ জন উপভোক্তার প্রাপ্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাত করা হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্মীদের মদতেই প্রকল্পে টাকা নয়-ছই হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলমের।তিনি বলেন,এলাকায় হার্টিকালচার প্রকল্পের কলাচাষ হলেও উপভোক্তারা তাদের প্রাপ্য পায়নি।জমিতে বর্তমানে কলা গাছের দেখা নেই। বিকল্প ফসল চাষ বেছে নিয়েছে কৃষকরা। প্রাপ্র্য পেলেও তা হাতেগোনা। পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে গুরুত্ব পাওয়া যায়না।
সাহাবাজপুরের উপভোক্তা গোলাম এজদানি জানান,দশ কাঠা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম।গাছে দেওয়ার জন্য সার পেয়েছিলাম।তবে প্রাপ্য পেয়েছি মাত্র হাতেগোনা।জমিতে বেড়া,নিড়ানি ও শ্রমিকের খরচ রয়েছে।সেই টাকাতে হয়নি।আরোও টাকা পাওয়ার কথা।কিন্তু এখনো তা পাচ্ছি না। ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছি প্রশাসনকে ।তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচলের এসডিও। গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সইমুদ্দিন।তিনি বলেন,নিয়ম মেনেই হার্টিকালচার প্রকল্পের কাজ হয়েছে। চাষিদের সার দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তাদের একাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে।
তবে লকডাউনের পরে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল তাই হইতো পায়নি। তবে কেউ প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপপ্রধান।
পঞ্চায়েত সবার,সবাইকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দূর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।ইংরেজদের মতো সবটাই লুট করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি সুমিত সরকার। পাল্টা জবাবে মালদা জেলা তৃণমূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম বলেন,তৃণমূল সরকার আসার পরে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে।উন্নয়ন দেখে সহ্য হয়না বিরোধীদের।পঞ্চায়েতে কি হচ্ছে সেটা দেখা হবে।তবে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব নেই চাঁচল এলাকায়।