BSF: বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১.০৭ কোটি মূল্যের ১৬টি সোনার বিস্কুট-সহ দুই ভারতীয় ট্রাক চালককে ধরেছে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৬টি সোনার বিস্কুট-সহ ট্রাক চালক এবং খালাসিকে আটক করেছে। সোনার ওজন ২,২৩৯.৯১০ গ্রাম এবং দাম ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৬৮ টাকা। ওই দুই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই সোনার বিস্কুট গুলো আনার চেষ্টা করছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়।
শুক্রবার সকাল ০৭ টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত চৌকি জওয়ানরা অভিযান চালান। সেই সময়, জওয়ানরা একটি খালি ট্রাক বাংলাদেশের দিক থেকে আসতে দেখেন। যা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহ করা হয়েছিল। ট্রাকটি ঘোজাডাঙ্গায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই জওয়ানরা ট্রাকের চালক ও খালাসিকে ট্রাক থেকে নামিয়ে দেয় এবং ট্রাকটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি করে।
তল্লাশির সময় ট্রাকের কেবিন থেকে ০৩টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে ১৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ ট্রাক চালক ও খালাসিকে ট্রাক এবং ওই জিনিস-সহ জওয়ানরা গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কমল হাসান সরদার জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঘোজাডাঙ্গা থেকে ভোমরায় যায় ট্রাকটি। যেখানে মিলন মঠ পার্কিংয়ে ট্রাকটি আনলোড করা হয়েছিল। সে জানান, ঘোজাডাঙ্গার উত্তরপাড়ার রিপন মন্ডল তাকে বলেছিল যে বাংলাদেশে মিঠু গাজী ওরফে ইব্রাহিম নামে একজন তাকে কিছু প্যাকেট দেবে। যা আসার সময় খালি ট্রাকে আনতে হবে। এবং রিপন মন্ডলকে ঘোজাডাঙ্গা পার করার পর ইছামতি পার্কিংয়ে সেগুলো দিতে হবে। কমল হাসান সরদার বলে যে প্রথমে সে এই কাজটি করতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু রিপন মন্ডল এই কাজের জন্য তাকে একহাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তখন সে এই কাজটি করার জন্য হ্যাঁ বলেছিল। কামাল আরও জানায়, আজ সকাল ০৭০০ টায় মিঠু গাজী নামে এক ব্যক্তি তাকে সবুজ সাহেব পার্কিংয়ে বাদামি রঙের সেলোটেপ দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট দিয়েছিল। যেগুলো সে খালাসি রাজ্জাক দালিকে না জানিয়ে ট্রাকের কেবিনে রেখেছিল। যখন তারা আইসিপি ঘোজাডাঙ্গা পার হচ্ছিল, তখন বি এস এফের জোয়ানরা ট্রাক তল্লাশির সময় তাকে ধরে ফেলে। সে দাবি করে, সে এই কাজটি প্রথমবার করেছে। কিন্তু জানা গিয়ছে কমল হাসান সর্দার প্রায়ই সোনা পাচারের কাজ করে আসছে। সে রিপন মন্ডলের জন্য এই ট্রাকের মাধ্যমে সোনা পাচার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক দালি জানায়, সে ট্রাকে কালাসিরহিসেবে কাজ করে। রিপন মণ্ডলের সঙ্গে তার কখনও দেখা হয়নি। সে বলে যে সে এই জিনিস সম্পর্কে কিছুই জানে না।