স্বামীজির বাড়ি থেকে মেদিনীপুর, দেখুন শাহের সফরের প্রথম দিন

গত মাসে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। এবার উত্তর কলকাতায় স্বামীজির বাড়ি থেকেই সফর শুরু হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়ি ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এসে অমিত শা প্রথমে স্বামীজি মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। তারপর ঘুরে দেখেন মিউজিয়াম।দেখেন স্বামীজির জন্মভিটে। এরপর বীরেশ্বর শিব ও জগদ্ধাত্রী মন্দির দর্শন করেন। 

রামকৃষ্ণ মিশনের মিশনের তরফ থেকে অমিত শাহকে দেওয়া হবে প্রসাদী শাল, ইংরাজী ও হিন্দিতে অনুদিত বিবেকানন্দ রচনাবলীর অংশ বিশেষ, বাংলা বই 'মূল্যবোধে ধন্য জীবন'।   অমিত শাহ জানিয়েছেন এখনও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ সমান প্রাসঙ্গিক। তাই এখানে এসে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। আজও তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনেই চলেন।

স্বামীজির বাড়ি থেকে বেরিয়ে কপ্টারে  মেদিনীপুরে পৌঁছন শাহ।  সেখান থেকে হবিবপুরে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

ক্ষুদিরামের মূর্তিতে জানান শ্রদ্ধা। কথা বললেন তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গেও। তাঁরা ক্ষুদিরামের জন্মভিটার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।

এদিন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরেও পুজো দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।   সেখানে পুজো দেওয়ার পর যান কর্ণগড় মন্দিরে।

বঙ্গ সফরে এসে ফের আদিবাসী পরিবারে পাত পেড়ে খেলেন অমিত শাহ। মেনুতে ছিল উচ্ছে ভাজা, শুক্তো, ফুলকপি রসা, পোস্ত দিয়ে শাক ভাজা, উচ্ছে ভাজা, পটল ভাজা, টক দই, খেজুর গুড়ের রসগোল্লা, চাটনি, পাঁপড়। এবার শালবনির বালিজুড়ির সনাতন সিংহের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সনাতন  অমিত শাহকে অনুরোধ করেন গ্রামের উন্নয়নের জন্য।

 এরপরেই মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে জনসভা ছিল অমিতের। অমিত শাহের বঙ্গ সফরে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। শাসক দলের ৭ বিধায়ক ও ১ সাংসদ আজ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বাম ও কংগ্রেসের ৩ বিধায়কও নাম লিখিয়েছেন পদ্মফুলে।

লোকসভা ভোটের পর বিক্ষিপ্তভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান চললেও, প্রথমবার এক ধাক্কায় এতজন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিকে ভাঙিয়ে আনল বিজেপি। বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের ঘরেও হানা দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
 

 গেরুয়া টিকা পরে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের হাত থেকে নিলেন পতাকা। সঙ্গে একঝাঁক অনুগামী। 
 

২০১৬-র বিধানসভা ভোটে  এরাজ্য়ে মাত্র ৩টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি কেন্দ্রে ফোটে পদ্ম। লোকসভা ভোটের নিরিখে ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালে বিজেপি ২০০টির বেশি আসন পাবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। জনসভা থেকে অমিত শাহ বাংলার জনতার উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা বামেদের বহু বছর ক্ষমতায় রেখেছিলেন, কংগ্রেসকেও  সুযোহ দিয়েছেন। তৃণমূলকেও দশ বছর দিয়েছেন। এবার একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। সোনার বাংলা গড়ে দেবে বিজেপি।' এদিন মেদিনীপুরের কলেজ  মাঠে অমিত শাহের  জনসভা চলাকালীন  'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে সরগরম হয়ে ওঠে চারদিক।