যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবার কেমন আছে? তার খবর আমরা বড় একটা রাখিনা।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সৈনিক ছিলেন হুগলির শ্রীরামপুরের ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস। ইংরেজ শাসনে টানা ১৮ মাস কুখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রামের জেলে বন্দি ছিলেন এই বিপ্লবী। পরে ইংরেজ সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি জেল থেকে পালিয়ে যান।
শোনা যায় ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস নিজের মাকে ত্যাগ করে ভারতমাতা কে স্বাধীন করার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে ছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের হয়ে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী সংগ্রামে যোগ দেন।
জয়প্রকাশ নারায়ণ (জেপি), নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শরৎচন্দ্রে বসু , অমিও বসু, ইংরেজ শাসনের বিখ্যাত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠ কাণ্ডের মহানায়ক গণেশ ঘোষের মতো স্বাধীনতার সেনানীদের সঙ্গে আজাদ ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলে ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসও।
দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের ঠিকানা বলতে বাঁশ - টালির দুই কামরার বাড়ি।
সেখানেই কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন তাঁর বিধবা স্ত্রী এবং দুই ছেলে। কোনওভাবে দু'বেলার খাবার জোগাড় করতে পারছেন আজাদ হিন্দ ফৌজের স্বর্গীয় সেনানীর পরিবার।
ক্ষমতায় আসার পর আজাদ হিন্দ বাহিনী ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বারবার আবেগ তাড়িত হতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
আশা নিয়ে তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাছে দরবার করেছেন স্বাধীনতা সেনানীর পরিবারের সদস্যরা।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লেখা থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী-আমলা সব দরবারেই গিয়েছেন।