শ্রাবণ মাস জুড়ে শিবের আরাধনা করে থাকে হিন্দু ধর্মের মানুষ। পূর্ব বর্ধমানের আলমগঞ্জের ভিখারি পাড়ার শিবও একইভাবে পূজিত হন। জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এসে জল ঢালেন শিবের মাথায়।
শ্রাবণমাস জুড়ে এই জল ঢালার পর্ব চলে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু, করোনার কারণে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভক্তদের মন্দিরের ভিতর অর্থাৎ শিবের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, মানুষের হাতের স্পর্শ থেকে শিবকে মুক্ত রাখা।
তাহলে কীভাবে শিবের মাথায় জল ঢালছেন ভক্তরা? এখানেই নতুনত্ব। আসলে মন্দিরের গেটের বাইরে একটি লম্বা পাইপ লাগানো হয়েছে। সেই পাইপটি এসে যুক্ত করা রয়েছে শিবের শরীর পর্যন্ত। ভক্তরা বাইরে থেকে সেই পাইপে দুধ-জল ঢালছেন।
মন্দিরের পুরোহিত জানালেন, করোনা আবহে ভক্তদের হাতের স্পর্শ থেকে শিবকে বাঁচাতে এবার এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৃথিবী করোনামুক্ত হওয়ার পর আগের মতোই ভক্তরা ফের মন্দিরে প্রবেশ করে জল ঢালতে পারবেন।
এই শিব মোটা শিব নামে পরিচিত। আকার ও আকৃতির কারণে এমন নাম । ১৯৭২ সালের ১০ অগাস্ট আলমগঞ্জ মৌজায় ভিখারি বাগান অঞ্চলে মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া যায় একটি বিশাল শিবলিঙ্গ। ওজন সাড়ে বারো টন। পরিধি ১৬ ফুট। উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট ।