শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলেছে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায়। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, প্রবল বৃষ্টি।
গরমে নাজেহাল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসে গতকালের বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল বিকেলে ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
এদিকে ক্রমশ উত্তরমুখী মৌসুমি বায়ু। বঙ্গোপসাগরের উপর ধীরে ধীরে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করছে। এর ফলে আমাদের রাজ্যেও জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে।
এই জলীয়বাষ্পের ফলে বাংলার উত্তরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ জায়গাতেই বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে কচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হবে। তবে এর জেরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলছে। সেইসঙ্গে দেশের উত্তর পূর্বের সব রাজ্যেই চলছে ভারী বর্ষণ। বানভাসী হয়েছে অসম।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসুমী বায়ু বঙ্গে কাছাকাছি আসবার ফলেই আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়ছে। সেই কারণে বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। তবে আগামী পাঁচ দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সুতরাং, বৃষ্টির সময় সাময়িক স্বস্তি মিললেও এখনই যে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলবে না হাওয়া অফিসের ইঙ্গিতে তা স্পষ্ট।
কলকাতার ক্ষেত্রেও বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হবে। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার বিকেলে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০%।
আন্দামান নিকোবরে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি।