দুর্নীতির অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক। বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
মাস কয়েক আগে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩ তৃণমূল শীর্ষ নেতা। তৃণমূলের প্রাক্তন এক নেতাকে। কলকাতায় তাঁদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এঁরা হলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মন্ত্রী, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। শোভন মন্ত্রী ছিলেন।
কলকাতার চেতলা থেকে ফিরহাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ফিরহাদের দাবি ছিল, নারদা কেসে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। কোর্টে দেখে নেব। ওইদিন তাঁর বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখানে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। চেতলার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা। তাঁরা এলাকায় বিক্ষোভ দেখান।
একই দিনে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছি। এর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছিল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কেও।
কোটি কোটি সরকারি টাকা তছরূপের অভিযোগে রবিবার সকালে গ্রেফতার বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত।
উল্লেখ্য, পূর্ব তদন্তের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের আনা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে বর্ষীয়ান এই নেতার বিরুদ্ধে?কোন দোষেই বা গ্রেফতার করল তাকে পুলিশ, দেখে নেওয়া যাক।
সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রনারায়ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদবাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৪৭১, ৪০৯, ৪২০, ৪০৬, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪২০-বি, ৬৬ ডিটি ধারায় টাকা তছরূপ, জাল নথি বানানো সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুরু করেছে মামলা।
এদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি, এই বর্ষীয়ান নেতাকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ভিত্তিতে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাতে নেওয়া ৩৫টি সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ৪ টি প্রকল্পের কাজ শেষের মুখে এবং ১৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি কী ভাবে হতে পারে, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। এছাড়াও তার দাবি, এই বর্ষীয়ান নেতাকে রাজনৈতিক কারণেই ফাঁসানো হয়েছে, যা স্পষ্ট হয়েছে তাঁর গ্রেফতারির কারণেই। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ সরগরম বিষ্ণুপুরের রাজনীতি। বিজেপির দাবি, তৃণমূল বিরোধীদের দমিয়ে রাখতে এভাবেই আইনকে ব্যবহার করছে।