দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে আজ রোববার ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত হয়েছে। আজ সকাল ছয়টার দিকে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হয়।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সমুদ্রেই যা আরও শক্তি বৃদ্ধি করছে। যার জেরে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১১-১৩ মের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১০-১৩ মে-র মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। তবে উপকূলের জেলাগুলিতে বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আপাতত আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা উপকূলের কাছে। তবে কোথায় তা আছড়ে পড়বে তা এখনই বলতে পারছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই। আপাতত সদ্য তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ‘অশনি’।
বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগাম সতর্কতা জারি করেছে নবান্ন।
গত বছর মে মাসেও বঙ্গোপসাগরে ‘ইয়াস’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। সেই কারণেই পরিস্থিতি সামলাতে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে নবান্ন।
আবহাওয়া দফতর গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে অশনি যদি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসে, তাহলে তা মাঝারি মাত্রার ঝড়ে পরিণত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটি কোথায় গিয়ে আঘাত করবে, তা আরও দুই দিন পর বলা যাবে।
এদিকে অশনির প্রভাবে আজ থেকেই বদলাতে শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলার আবহাওয়া। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমাঞ্চল ও উপকূলের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে আজ থেকেই। ১০ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বদলে যাবে আবহাওয়া।