Cyclone Jawad: দুর্যোগ শেষ। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী ৬ ঘণ্টায় বাংলাদেশ যাবে নিম্নচাপ। কাল, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি। জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা জানাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। সোমবার থেকে দুর্যোগ কমে গিয়েছে অনেকটাই।
বাংলাদেশ লাগোয়া জেলা নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণার অংশ সেখানে দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। খুব কম জায়গায় কাল থেকে মেঘলা থাকবে। আজও থাকবে। কাল থেকে কাটবে। উপকূল, উত্তর ২৪ পরগণা মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গে কালকের পর থেকে শুষ্ক। আজ বদল নেই। ২৪ ঘণ্টা পর ধাপে ধাপে রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি কমতে পারে। আগামী তিনদিন কমবে। তা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে। এখন স্বাভাবিক ২০.৬ স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি।
১-২ ডিগ্রি বেশি হতে পারে। স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের থেকে ওকটু ওপরে থাকবে। এক ধাক্কায় তো কমবে না। রাতের তাপমাত্রা খুব একটা বদল নেই।
কাল থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। শুষ্ক আবহাওয়া ফিরবে তিন চার দিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামবে। এরপর শীতের আমেজ রাজ্যে।ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিতে রেকর্ড।
এখানে ঠান্ডার নিজস্ব কোনও উৎস নেই। দীর্ঘদিন ঠান্ডা থাকে এমন নয়। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস এলে হয়, আবার বঙ্গোপসাগরে কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তা নষ্ট হয়। ১১ থকে যা বলা হচ্ছে, তাতে দেখা যাবে ২-১ দিন থাকবে।
বৃষ্টি যেটা হয়েছে এক কথায় বলতে গেলে ডিসেম্বরে এটা দেখা যায়নি। এর আগে দু'বার হয়েছিল। ১৯৮১ সালে এমন একটা । তার আগে ১৯৭৩ সাল, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ডিসেম্বরে অতি ভারী বৃষ্টি তেমন হয়নি।
আলুর জমিতে জল জমে গিয়ে ক্ষতি। সবজি চাষে ক্ষতি হতে পারে। বেগুন, লঙ্কা, ফুলকপি, বাঁধাকপি গোড়ায় জল জমলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঝড় আসবে না, আসেনি। নিম্নচাপের হাত ধরে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল।
নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে রয়েছে। দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৬ ঘন্টায় আরও দুর্বল হয়ে যাবে।