বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ মাছ এবার দুর্গাপুজোর পর কালি পুজোতেও বাঙালির পাতে দেখা যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
জানা যাচ্ছে এবার বাংলাদেশ থেকে আসতে চলেছে প্রায় হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ । এতে খুশি খাদ্য রসিক বাঙালি।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে আগের মতো আর পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না কলকাতায়। তবে গত দুই বছর হল বাংলাদেশ সরকার পুজোর আগে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়।
তাতেই গত দুই বছরের মতো এ বছরেও পুজোর উপহার হিসাবে আসে বাংলাদেশি ইলিশ। এবছর পুজোর আগে বাংলাদেশি সরকার পশ্চিমপঙ্গে ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়।
গত ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানি করা হয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মাত্র ১১০০ মেট্রিক টন মাছ রফতানি করতে পেরেছিল।
তবে গত ৪ থেকে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার নদী ও সাগরে ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কলকাতার বাজারে পদ্মার ইলিশ মাছ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের ৩৫০০ মেট্রিক টন মাছ রফতানি বাকি ছিল । এই পরিস্থিতিতে দু'দেশের মাছ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আলাদাভাবে আবেদন করেন।
গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বাকি মাছ পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার এক নির্দেশ জারি করেছে।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাকি ২৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ এদেশে রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশের এক্সপোর্টাররা।
যদিও এখানকার মাছ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন আগামী কয়েকদিনে ১০০০ থেকে ১১০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আমদানি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ফের হাওড়ায় ঢুকবে পদ্মার রুপোলি শস্য। হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন ইলিশের সাইজ অনুযায়ী দাম উঠতে পারে।
৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম মাছের দাম ৯০০ থেকে হাজার টাকা। এক কিলো বা তার বেশি ওজনের মাছ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা হতে পারে।
এ রাজ্যে বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এই উৎসবের মরসুমে তাদের ভালো বিক্রি হবে।