উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে জন বারলার সাথে সুর মেলানোয় বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় বঙ্গভঙ্গের চেষ্টার অভিযোগ তুলে অভিযোগ দায়ের এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবার একইভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ধরণায় বসে তৃণমূল।
উত্তরবঙ্গ দীর্ঘ দিন থেকে বঞ্চিত। তাই উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। এই দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। এই দাবিতে উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধায়ক ও সাংসদরা সুর মিলিয়েছিলেন। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই ছিল ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি একাধিকবার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি করায় এবার তার বাড়ির সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসলো ডাবগ্রাম-২ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী- সমর্থকরা।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিকমহলে। সরাসরি বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসে উত্তেজনার আঁচ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছো যুব তৃণমূল। এদিন শিখা চট্টোপাধ্যায়ের শান্তিনগর এলাকার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসে ডাবগ্রাম ২ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। তাদের সেখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে দেখেই কিছুটা দূরত্বে থাকা বিজেপি কার্যালয়ের বিধায়কের উপস্থিতিতে পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগানে সামিল হয় বিজেপি কর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ। এদিন বিকেল পর্যন্ত বিধায়কের বাড়ির সামনে যুব তৃণমূলের ওই বিক্ষোভ চলে। ডাবগ্রাম ২ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রনি পাল বলেন, "বিধায়ক যেভাবে বাংলাভাগের চক্রান্ত করছেন তা খুব লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। সে জন্য আমরা বিক্ষোভে বসেছি।" অন্যদিকে পালটা বিধায়ক শিখাদেবী বলেন, "হাতেগোনা কয়েকজন একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে বিক্ষোভ করতে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি এমন কিছু বলিনি। আসলে ওরা পাগল।"