সাড়ে ৭ ফুটের দুর্গামূর্তি সঙ্গে গণেশ, হনুমান, মহাদেব, রামচন্দ্র একসঙ্গেই যাচ্ছে ফিজিতে, ভারত সেবাশ্রম সংঘে। রয়েছে ১৩ ফুটের শিবও।
তিনি কোনও দিন কোনও আর্ট কলেজে যাননি। ছোটবেলা থেকে অনুপ গোস্বামী মাটির কাজের প্রতি ঝোঁক। আর তাই স্কুলে না গিয়ে তাঁর ইচ্ছা ছিল হাতের কাজ শিখবেন।
মাটি দিয়ে বিভিন্ন রকমের মূর্তি, প্রতিমা-সহ নানা রকম জিনিস তৈরি করবেন। ছেলেবেলা থেকেই সেই নেশা পেয়ে বসেছিল। পরবর্তী কালে তা পেশায় রূপান্তরিত হয়। কলকাতা কুমোরটুলি থেকে কাজ শিখেছেন।
আর তারপর এখন নিজেই চাকদায় নিজের স্টুডিও খুলেছেন। ফাইবারের বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করেন। তাঁর তৈরি শিল্পকর্ম দেখে তাক লেগে যেতে হয়। এই বার তার দুর্গামূর্তি যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার পাশে ছোট্ট রাষ্ট্র ফিজিতে, ভারত সেবাশ্রম সংঘের অফিসে।
৩ মাস ধরে পরিশ্রম করে সবে শেষ হয়েছে তাঁর দুর্গামূর্তি তৈরির কাজ। শুধু তাই নয়, সঙ্গে যাচ্ছে হনুমান, রাম, গণেশ ও মহাদেব। কোভিড সংক্রমণের জন্য মূর্তি যেতে না পারায় একইসঙ্গে জাহাজে করে পাড়ি দেবে। একসঙ্গে সেই মূর্তি যাবে ভিন দেশে।
এখন থেকে তার তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। কাজ শেষ বললে চলে। তাই এখন ব্য়স্ততা প্যাকিংয়ের কাজে। কয়েক দিন পরই পাড়ি দেবে জাহাজে করে ফিজিতে।
এর আগে অনুপ গোস্বামীর তৈরি মূর্তি দেশ-বিদেশে বহু প্রশংসিত হয়েছে। তবে তাঁর তৈরি ফাইবারের সাড়ে ৭ ফুটের দুর্গামূর্তি ফিজিতে পূজো হবে, সেটা কম গর্বের নয় অনুপবাবুর কাছে।
তিনি জানান, এর আগে ভারত সেবাশ্রমের কাজ করেছিলেন। তা খুব ভাল লেগেছিল তাঁদের। আর তাই এই অর্ডার দিয়েছেন। দুর্গামূর্তি তৈরি করেছেন ৩ মাস। ৪ জন মিলে কাজ করেছেন।
অনুপ গোস্বামী জানান, লকডাউনের জন্য গণেশের মূর্তি যায়নি। তবে এক একবার করে পাঠানো যায় না তো। কন্টেনার ভাড়া করতে হবে। একসঙ্গে পাঠান হবে। শিবের মূর্তির উচ্চতা ১৩ ফুটের। খুব আনন্দ হচ্ছে। মূর্তি বাইরে যাচ্ছে।