দেশে কিংবা বিশ্বে হাতিদের করোনা সংক্রমণ হয়েছে এমন রেকর্ড নেই। জংলি হাতি হোক কিংবা কুনকি হাতি, করোনা আক্রান্তের কোন খবর এখনও মেলেনি।
কিন্তু দেশের অন্যতম বৃহৎ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অর্ন্তগত হলং পিলখানায় ৭৩ টি বড় এবং ১০ শিশু হাতিকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর মধুমালাই বাঘ্র প্রকল্পের ২৮ টি বুনো হাতির সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং হাতিদের সেই সোয়াব ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে সে রাজ্যের বনদপ্তর।
হাতিদের করোনার সংক্রমণের বিষয়ে তথ্য জানতে রাজ্যে বনদপ্তর তামিলনাড়ু সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। কোনও করোনার খবর মিললে তাঁরাও সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
যদিও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ রাজ্য বনদপ্তরের নির্দেশে এবং সেন্ট্রাল জু অথরিটির গাইড লাইন মেনে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং পিলখানার ৮৩ টি হাতির জন্য আগাম সর্তকতা অবলম্বন করছে।
রাজ্যের বন দপ্তরের কাছে উত্তরবঙ্গে মোট ১০২ টি কুনকি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে হলং পিলখানায় রয়েছে ৮৩ টি হাতি ৷ তার মধ্যে ৭৩ টি হাতি বন দপ্তরের কাজে নিযুক্ত। এবং দশটি ছোট হাতির প্রশিক্ষণ চলছে।
হলং পিলখানায় হাতি প্রতি একজন মাহুত এবং একজন পাতাওয়ালা রয়েছে। হাতিদের দ্বায়িত্বে থাকা ৮৩ জন মাহুত এবং ৮৩ জন পাতাওয়ালাকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল জু অথরিটির গাইড লাইন মেনে এই পিলখানায় দিনে দুই বার করে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
বন দপ্তরের সাথে যুক্ত পশুচিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত নজরদারি করছেন পিলখানার হাতিদের উপর। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রান)ভি.কে যাদব বলেন, কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়ার প্রশ্নই নেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কিছু খবর উঠে এসেছে। আমরা নজরদারি রাখছি।
পিলখানার হাতিদের পাশাপাশি জঙ্গলি হাতিদের উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।বনকর্মীদের সবার ভ্যাক্সিন নেবার প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ হয়েছে।
জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন,আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি প্রতিদিন পিলখানার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।