Ganga River Erosion in Malda: কারও পৌষ মাস, তো কারও আবার সর্বনাশ। গঙ্গার নদী ভাঙন এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
খোলসা করে বলা যাক। মালদা কালিয়াচক-৩ ব্লকের গঙ্গার আগ্রাসী ভাঙনে যখন গৃহহীন বহু মানুষ। একের পর এক বাড়ি-কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সর্বহারাদের চাপা কান্নার শব্দে ভারী হচ্ছে বাতাস
তখনই ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে কালিয়াচকের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনা বাজার, সরকার টোলা, মুকুন্দ টোলা, ঘোষপাড়া সহ একাধিক ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।
ভাঙন কবলিত এই সমস্ত এলাকায় প্রতিদিনই কারণে-অকারণে ভিড় জমাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। আর এই ভিড়কে কেন্দ্র করেই অস্থায়ী বাজার গড়ে ওঠে সেখানে। বসছে বিভিন্ন ধরনের দোকান।
এই ভিড়কে কেন্দ্র করে বসছে ঝাল মুড়ি, চপ, ঘুগনি দোকান।থাকছে এগ রোল সহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি খেলনা, বেলুনের দোকানও।
এদিকে, মালদার মানিকচক ব্লকের হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছড়িয়েছিল নদী ভাঙনে। এলাকায় তুমুল আতঙ্ক। নদীর তীরে ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ক্রমশ নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার জমি। ক্রমশ নদী বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছেন এলাকাবাসী।
তাঁরা চাইছেন, দ্রুত বাঁধের কাজ করে ভাঙনের হাত থেকে এলাকা বাঁচাক জেলা প্রশাসন। মালদা মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা নদী। প্রতি বছর বর্ষার মরসুমে তীব্র ভাঙন দেখেছে এলাকাবাসী। বিস্তীর্ণ জমি গঙ্গা গিলে ফেলেছে বিগত বছরগুলোয়। তবে এবার বর্ষা এগিয়ে আসতে বিক্ষিপ্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে হিরানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকসেনা ঘাট, কেশবপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। আর এতেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি এ ব্য়াপার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েছেন।