গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তিনটি আলাদা বিষয় নিয়ে পর পর তিন বছরে রেকর্ড গড়লেন বাংলার এক যুবক।
তাঁর নাম অনুপম সরকার। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে এই সংরক্ষিত হোক। সরকারি তত্ত্বাবধানেই তা সংরক্ষিত হোক।
নদিয়ার শান্তিপুরে গর্ব তিনি। আর শান্তিপুরের গর্বের মুকুটে আরও একটি পালক সংযোজন করলেন এক কৃতী সন্তান অনুপম সরকার।
পর পর তিনবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম তুলে শান্তিপুরকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে এলেন তিনি। পেশায় বাচিক শিল্পী হলেও বরাবরই একটু ভিন্নধর্মী কাজে আগ্রহ অনুপমের।
আর এই ভিন্নধর্মী শিল্পকে ভালবেসেই ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে পর পর তিনবার গিনেস বুকে নাম নথিভুক্ত করলেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অর্থাৎ বিশ্বের সর্ব ধর্মের মানুষকে একসূত্রে বাঁধার বার্তা দিতেই তিনি এই চেনটি তৈরি করেন। প্রথমনবারের জন্য গিনেস বুকে নিজের জায়গা করে নেন।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার তিনি গিনেস বুকে নাম তোলেন আপেলের বীজ দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একটি মালা তৈরী করে। আপেল উপকারী ফল হলেও তার বীজ কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তিনি ২ লক্ষ ২৭ হাজার ২৯০ টি দেশলাই কাঠি দিয়ে তৈরী করেন ভারতের শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিসৌধ অমর জওয়ান জ্যোতির একটি রেপ্লিকা বা প্রতিকৃতি।
যেহেতু সীমান্তে জওয়ানদের মৃত্যুর মূল কারণ বন্দুক বা বারুদ, তাই তিনি সেনাদের সম্মান জানাতে বারুদযুক্ত দেশলাই কাঠিকেই তাঁর শিল্পের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন।
২০২০ সালে মনোনীত হলেও তার রেকর্ডের শংসাপত্রটি করোনা আর লকডাউনের কারণে ১১ মাস আটকে ছিল। গত ১২ জুলাই এই শংসাপত্রটি তার হাতে এসে পৌঁছয়।
পর পর তিনবছর গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই শংসাপত্র লাভ করায় বলাই যায় তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন।