বাড়িতে নিজেই এক ফুটের কনক দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে পুজার আয়োজন তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র অরুণাভ চক্রবর্তীর। সে নিজেই দুর্গা প্রতিমার পৌরহিত্য করবে বলে জানা যাচ্ছে। এবারেও আদালতের নির্দেশে পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ।
করোনা পরিস্থিতিতে তাই বাড়িতেই এক ফুটের কনক দুর্গার প্রতিমা তৈরি করে পুজোর আয়োজন করেছে তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র অরুণাভ চক্রবর্তী।
গত বছর একই পরিস্থিতি থাকার কারণে বাড়িতেই এক ফুটের শ্বেতশুভ্র ডাকের সাজের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে পুজোর আয়োজন করেছিল অরুণাভ। তবে এবার একটু নতুনত্বের ছোঁয়া আনতে কনক দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বন্ধুবান্ধব এবং পাড়া প্রতিবেশীদের চমকে দিয়েছে সে।
শুধু এই নয়, কনক দুর্গার ইতিহাসও গড়গড় করে বলে গেল ছোট্ট অরুণাভ। প্রচলিত আছে বঙ্গভূমিতে মা দুর্গা আসেন সোনার অলংকারে সজ্জিত হতে। স্বর্ণ অলঙ্কারে ভূষিতা দেবী দুর্গাকে কনক দুর্গা বলা হয়। প্রায় পাঁচশো বছর আগে প্রথম কনক দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের মহারাজের বংশধরেরা। তবে এখনও বাংলায় বেশ কিছু জায়গায় কনক দুর্গার পুজো প্রচলিত আছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে এই ঢেউতে। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অরুনাভর মতো অনেককেই পুজামণ্ডপে যেতে দেয়নি তাদের পরিবার। এবারেও সেই একই পরিস্থিতি।
তাই এবারেও পুজা মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে যাওয়া হবে না অরুণাভর। সেই কারণেই এক ফুটের কনক দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নিজেই পুজোর আয়োজন করেছে সে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে এই ঢেউতে। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অরুনাভর মতো অনেককেই পুজামণ্ডপে যেতে দেয়নি তাদের পরিবার। এবারেও সেই একই পরিস্থিতি। তাই এবারেও পুজা মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে যাওয়া হবে না অরুণাভর। সেই কারণেই এক ফুটের কনক দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নিজেই পুজোর আয়োজন করেছে সে।
বাড়ির জামা কাপড় রাখার বাক্স সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ইতিমধ্যেই কনক দুর্গার প্রতিমা নির্মাণ করে ফেলেছে অরুণাভ। বাড়িতে ছোটখাটো একটি মণ্ডপ তৈরি করে সেখানেই পুজোর আয়োজন। গত বছরের মত এবারেও তাঁর বাড়িতে বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরা আসবেন বলেই আশা করছে অরুণাভর। কোভিড বিধি মেনেই আয়োজন করা হয়েছে পুজোর।