দিলীপ ঘোষ। এরাজ্যের বিজেপি সভাপতি। বলা চলে, দোর্দণ্ডপ্রতাপ আবার বিতর্কিত চরিত্রও। কিন্তু, আশ্চর্যজনক হলেও একথা সত্যি যে, একসময় এই দিলীপ ঘোষই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কুলিয়ানা গ্রামে। পিতা ভোলানাথ ঘোষ ও মায়ের নাম পুস্পলতা ঘোষ। ৪ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান তিনি।
স্কুল জীবন সমাপ্ত করে পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা কোর্স করেন তিনি। যদিও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল।
১৯৮৪ সাল অর্থাৎ ২০ বছর বয়সে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন। শুরু করেন কাজ। তবে কলেজে পড়া শেষ করে কিছুদিনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করেছেন তিনি।
RSS-এর প্রাক্তন প্রধান কে এস সুদর্শনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন দিলীপ ঘোষ। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ এই সময়কালে সংঘের কাজে কাটিয়েছেন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।
২০১৪ সালে প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। সেবছরই তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয় BJP নেতৃত্ব।
তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি এই নেতাকে। ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৫ সালে দলের রাজ্য সভাপতি হন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে খড়গপুর সদর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে ফের লোকসভা ভোটে দাঁড়ান তিনি। তাঁর সভাপতিত্বেই পদ্মশিবির রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করে। এত আসন বিজেপি এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিন পায়নি। ফলে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এই নেতার।
২০২১ বিধানসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে তিনিই বিজেপির প্রচারের তারকা মুখ। তাঁকে সামনে রেখেই রাজ্য জয়ের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন দিলীপ ঘোষ। বারে বারে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।