বুধের পর বৃহস্পতিবরাও দিন শুরু হল আকাশের মুখ ভার দিয়ে। রাজ্যে আগেই ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। এখন সেই মৌসুমীব বায়ু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে জোরাল ভাবে অবস্থান করছে। যার জেরে এদিনও রাজ্যের সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিরর সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্য দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী ২-৩ ঘণ্টায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হওয়ার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। প্রসঙ্গত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সপ্তাহভর মেঘলা আকাশ থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে।
বৃহস্পতিবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৬ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।
দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর ও আরও কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে রবিবার পর্যন্ত।
উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও মালদায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা এখনও জারি রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে জোরাল হাওয়া থাকায় মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে তাঁরা যেন ১৭ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান।